Cvoice24.com

ওমিক্রনের ঢেউ মোকাবেলায় কতটুকু প্রস্তুত চট্টগ্রাম বন্দর?

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২২
ওমিক্রনের ঢেউ মোকাবেলায় কতটুকু প্রস্তুত চট্টগ্রাম বন্দর?

চট্টগ্রাম বন্দর।-ফাইল ছবি

আবারো মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে করোনা। এর প্রভাব রুখে দিতে ১১ দফা বিধিনিষেধও জারি করেছে সরকার। তারমধ্যে গত বছরের জুন মাসে করোনার বিস্তার ঠেকাতে সাত দফা নির্দেশনা জারি করে বন্দর। অথচ এবার করোনার সংক্রমণ বাড়লেও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য বিশেষ কোন নিয়ম জারি করেনি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি। 

দেশের মোট আমদানি-রপ্তানির প্রায় ৯২ শতাংশ হয়ে থাকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। তাই এ বন্দরের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরে প্রতিদিন গড়ে সাত হাজারের বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়। তবে করোনার এই সংকটময় সময়েও পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বন্দর। স্বাভাবিক রয়েছে কনটেইনার, কার্গো হ্যান্ডলিংসহ যাবতীয় কার্যক্রম। 

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বন্দরে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারি নিয়োজিত আছেন। এর আগের দফায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫৩ জন বন্দরের সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। তবে এবার করোনার বিস্তার বাড়লেও এখনো পর্যন্ত বন্দরের উপর কোন ধরণের নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান বন্দর কর্মকর্তারা। 

গতবছর করোনার বিস্তার ঠেকাতে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সাবান দিয়ে হাত দোয়া, মাস্ক ব্যবহারসহ সব ধরণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। বন্দর ভবনে বহিরাগতদের প্রবেশেও জারি করা হয়েছিল কঠোর ব্যবস্থা। বন্দরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারিকে টেলিফোন, ই-মেইল, হোয়াটস অ্যাপের সুবিধা নিয়ে যাবতীয় কাজ সম্পাদন করতে বলা হয়েছিল। মোট জনবলের ব্যবহার এড়িয়ে নূন্যতম জনবল দিয়ে রোস্টার পদ্ধতিতে দাপ্তরিক কার্যক্রম চালানোর নির্দেশনাও দেয়া হয়েছিল। পাশাপাশি প্রধান প্রকৌশলীকে বন্দর কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করার নির্দেশনাও ছিল। এবার এসব নিয়ম জারি করেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ। 

করোনার সংক্রমণ বাড়ায় বন্দর কর্তৃপক্ষ কোন নির্দেশনা জারি করেছে কিনা জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক সিভয়েসকে বলেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ১১ দফা বিধি নিষেধ জারি করেছে। এরমধ্যে বন্দরের জন্য যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা মেনে চলা হবে। কিন্তু বন্দরের কাজে নিয়োজিত থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য আলাদা কোন নির্দেশনা জারি করা হয়নি। করোনার ভয়াবহতা নিয়ে আমাদের এর আগেও অভিজ্ঞতা হয়েছে। বন্দর কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সেভাবেই সচেতন থেকে কাজ করবেন। আমরা এর আগেও খারাপ পরিস্থিতিতে কাজ চালিয়ে গেছি। এবারো আমরা আন্তরিকভাবে কাজ চালিয়ে যাবো।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়