Cvoice24.com

পণ্য রপ্তানির আড়ালে টাকা পাচার করতো ঢাকার আরএম সোর্সিং

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:১৮, ১৯ জানুয়ারি ২০২২
পণ্য রপ্তানির আড়ালে টাকা পাচার করতো ঢাকার আরএম সোর্সিং

পণ্য রপ্তানির আড়ালে টাকা পাচার করতো ঢাকার আরএম সোর্সিং।

বিদেশে পণ্য রপ্তানির আড়ালে কোটি কোটি টাকা পাচারের চেষ্টা করছিল ঢাকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আরএম সোর্সিং বাংলাদেশ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে চার ধরনের পণ্য চালান রপ্তানির বিপরীতে প্রায় ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের অপচেষ্টা চালায় প্রতিষ্ঠানটি। তিন মাসের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটি ১১৩টি পণ্য চালান রপ্তানির বিপরীতে কত টাকা বিদেশে পাচার করেছে তার অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের এআইআর শাখা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার উত্তরা এলাকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আরএম সোর্সিং বাংলাদেশ নামের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটির পণ্য ফিলিপাইনে রপ্তানির উদ্দেশ্যে কেডিএস লজিস্টিকস লিমিটেডের ডিপোতে কনটেইনারে লোড করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে গত ১১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির চার ধরনের পণ্য চালান আটক করে শতভাগ কায়িক পরিশ্রম করা হয়।

কায়িক পরীক্ষা শেষে দেখা গেছে, চারটি পণ্য চালানের বিপরীতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি আইএফআইসি ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি করেন। সে হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি ২৪ হাজার ৩৪৪ পিসের বিপরীতে ২৯ হাজার ৯৪৪ ইউরো বা ২৯ লাখ ৬০ হাজার ২৪৮ টাকা প্রাপ্তি হতো। তবে সঠিক ঘোষণা থাকলে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৯২ লাখ ২৭ হাজার ৯৫২ টাকা প্রাপ্তি হতো। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি চার ধরনের পণ্য রপ্তানির আড়ালে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার শরফুদ্দিন মিঞা সিভয়েসকে বলেন, গত বছরের ২৫ অক্টোবর থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি মোট ১১৩টি পণ্য চালান রপ্তানি করে। এসব পণ্য চালানের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটি কত টাকা বিদেশে পাচার করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার বিষয়ে যাবতীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

-সিভয়েস/টিএম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়