Cvoice24.com

বাণিজ্য মেলা বন্ধের সুপারিশ

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৫৮, ২৫ জানুয়ারি ২০২২
বাণিজ্য মেলা বন্ধের সুপারিশ

বাণিজ্য মেলা। -ফাইল ছবি

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। একইসঙ্গে বাণিজ্য মেলা বন্ধ ও আসন্ন বইমেলাও পিছিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারিগরি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা।

তিনি বলেন, সরকারকে বিধিনিষেধ কঠোর করার ব্যাপারে আমরা কয়েক দফায় বলেছি। এখন শুধু বিধিনিষেধ দিলেই তো হবে না, এর বাস্তবায়ন ও কঠোর প্রয়োগ জরুরি। বলা হয়েছে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিতে হবে, সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, অফিসগুলোতে অর্ধেক লোকবল নিয়ে চালাতে হবে। শুধু নির্দেশনাই নয়, এগুলো ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তাই করোনা নিয়ন্ত্রণে পরিবহনে অর্ধেক যাত্রী ও বাণিজ্য মেলা বন্ধ এবং বইমেলা পেছানো উচিত।

লকডাউনের সুপারিশ করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওমিক্রন প্রতিরোধে নতুন করে লকডাউন দিয়ে লাভ হবে না। এছাড়া এই মুহূর্তে হাসপাতালগুলোতেও তুলনামূলক রোগী কম। আমরা যখন দেখি হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি, চিকিৎসকদের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে, তখন লকডাউনের সুপারিশ করি।

কমিটির এই সভাপতি বলেন, লকডাউন দিলে জনজীবনে প্রভাব পড়বে, অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে; কাজেই লকডাউনের আগে যে কাজগুলো বেশি কার্যকর সে কাজগুলো যদি আমরা যথাযথভাবে করতে পারি, তাহলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দিয়ে জানিয়ে ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন প্রথম দেখা দেয় দক্ষিণ আফ্রিকায়, তারা লকডাউন না দিয়ে শুধু স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করেছে। আমাদেরও স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার (২৪ জানুয়ারি) থেকে অর্ধেক জনবল নিয়ে সরকারি-বেসরকারি অফিস চালানোর নির্দেশনাসহ রোববার (২৩ জানুয়ারি) প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ২৪ জানুয়ারি (সোমবার) থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি (রোববার) পর্যন্ত নিম্নবর্ণিত শর্ত সংযুক্ত করে সার্বিক কার্যাবলি-চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।

► সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অর্ধেক সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে পরিচালনা করতে হবে। অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম ভার্চ্যুয়ালি (ই-নথি, ই-টেন্ডারিং, ই-মেইল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যম) সম্পন্ন করবেন।

► বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

► ব্যাংক-বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

এর আগে, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১৩ জানুয়ারি ১১টি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। পরে ২১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধসহ ৬টি নির্দেশেনা দেওয়া হয়।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়