প্রতিযোগিতায় টিকতে পাট উৎপাদনের বিকল্প নেই: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, পাটে সুদিন ফিরছে। পাট রপ্তানির সব আয় হবে ডলারে। কৃষক যখন পাট রোপণ করছে, সেটি একেকটি ডলার। পাটের সুতা তৈরি হচ্ছে। পাটকড়ির চারকোল রফতানি করছি। পাট ও পাটকড়ি দুটি রফতানি হচ্ছে। তবে প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে নিরবচ্ছিন্ন পাট উৎপাদনের বিকল্প নেই। 

মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় কেএফডি জুট মিলস্ লিমিটেডের উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।  

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, পাকিস্তান আমলে পাট ছিল প্রধান আয়ের উৎস। পাটের এখন সুদিন ফিরছে। ইজারা দেওয়া সরকারি পাটকল কেমন চলছে দেখতে এসেছি। শ্রমিকদের কাছে জানতে চেয়েছি তারা কেমন আছে? মালিক-শ্রমিক মিলে কারখানা চালালে ভালো চলে। সরকার ব্যবসা করে না। সরকার ব্যবসা রক্ষা করে, পলিসি নির্ধারণ করে। আরও ১৫টি মিল আছে। সেগুলো বেসরকারি খাতে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। 

মন্ত্রী বলেন, কারখানার প্রতি ভালোবাসা থাকলে উন্নতি হবে। মেশিনকে ভালোবাসতে হবে, শ্রমিককে ভালোবাসতে হবে। মেশিন মায়ের সমান, মেশিনকে আদর করতে হবে। নরসিংদীর বাংলাদেশ জুট মিলস্ লিমিটেড ভাড়াভিত্তিক ইজারা দেওয়া হয়েছে। মিলটিতে ইতোমধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়াও খুলনার ক্রিসেন্ট জুট মিলস লিমিটেড ও চট্টগ্রামের হাফিজ জুট মিলস লিমিটেড লিজ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়াও, ১৩টি জুটমিলের জন্য ২য় ইওআই (এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ১৮টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫৩টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। প্রস্তাবসমূহ দ্রুত যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আশা করছি, এপর্যায়ে আরো কয়েকটি মিল ভাড়াভিত্তিক লিজ প্রদান করা সম্ভব হবে।

পরিদর্শনকালে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, বস্ত্র ও পাটসচিব মো. আব্দুর রউফ, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, ইউনিটেক্স গ্রুপের মো. আরিফ, সাকিব আহমেদ সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

-সিভয়েস/টিএম