চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজ যাবে স্লোভেনিয়ায়

ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশ স্লোভেনিয়া রুটে সরাসরি জাহাজ যাবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে। ফলে দেশটির বন্দর পোর্ট অব কোপারে সরাসরি চলে যাবে পণ্য।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-স্লোভেনিয়া রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হলে দেশটির বন্দর পোর্ট অব কোপারে সরাসরি চলে যাবে পণ্য। পোর্ট অব কোপারের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরে সরাসরি কন্টেইনার জাহাজ চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে পোর্ট অব কোপারের প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাৎও করে গেছেন। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বর্তমানে ইতালি, ইংল্যান্ড, রোটারডেম, ডেনমার্ক, পূর্তগালের বন্দরে সরাসরি কন্টেইনার জাহাজ চলাচল করছে। 

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম. শাহাজাহান সিভয়েসকে বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নপূর্বক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আঞ্চলিক বাণিজ্যিক হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে কার্যক্রম চলছে। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর সমূহে কন্টেইনার স্বল্পতা ও জাহাজ সংকটের কারণে পণ্য পরিবহনে ব্যয় ও সময় বেড়ে যায়। এ প্রেক্ষিতে দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পণ্য পরিবহনে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরসমূহ পরিহার করে ইতালি, ইংল্যান্ড, রোটারডেম, ডেনমার্ক, পর্তুগাল ইত্যাদি বন্দর সমূহ সরাসরি কন্টেইনার জাহাজ চলাচলের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এতে বিদেশি ক্রেতাদের সময় এবং খরচ অনেকাংশ হ্রাস পাচ্ছে। বর্তমানে স্লোভেনিয়ার পোর্ট অব কোপারের সাথে সরাসরি জাহাজ চলাচলের উদ্যোগকে সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বিদেশী ক্রেতা, শিপিং কোম্পানিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে।

বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম সিভয়েসকে বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে বর্হিবিশ্বে প্রতিযোগিতামূলক করার জন্য, ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর সমূহের সময়ক্ষেপন ও জাহাজ জট এড়ানোর লক্ষ্যে এবং সময় ও ব্যয় কমানোর স্বার্থে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন রপ্তানিমূলক দেশ সমূহে পণ্য প্রেরণে সরাসরি জাহাজ চলাচলের কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নভূক্ত স্লোভেনিয়ার পোর্ট অব কোপার চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে সরাসরি পণ্য পরিবহনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে রপ্তানি বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি আরো বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।