Cvoice24.com

চট্টগ্রামে বেড়েছে গরু-ছাগলের সংখ্যা, সঙ্গে খামারিও

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:৪৫, ২৩ জুন ২০২২
চট্টগ্রামে বেড়েছে গরু-ছাগলের সংখ্যা, সঙ্গে খামারিও

আর মাত্র ১৬ দিন পরেই পালিত হবে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। আর এ উৎসব পালনে আল্লাহপাকের সন্তুষ্টির জন্য মুসলিম উম্মাহ প্রতি বছর পশু কোরবানি দিয়ে থাকে। কোরবানের চাহিদা মেটাতে সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও রয়েছে যথেষ্ট দেশীয় জাতের পশু। চলতি বছর চট্টগ্রাম জেলায় মোট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ লাখ ২১ হাজার এবং তার বিপরীতে ৭ লাখ ৯১ হাজার ৫০১ পশু (গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া) প্রস্তুত রাখা রয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে চট্টগ্রামে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর পশু সংখ্যা বেড়ে ৯৬ শতাংশ নিশ্চিত হয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে পশুসম্পদ খামারের সংখ্যাও।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩ লাখ ২০ হাজার, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১১৯, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ১৬৩, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫ লাখ ৮১ হাজার ৬৩৪, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬ লাখ ১০ হাজার ২১৯, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬ লাখ ৮৯ হাজার ২২ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৩৩৪ দেশীয় পশু পালন করা হয়েছিল। আর এবারে পালন করা হয়েছে ৭ লাখ ৯১ হাজার ৫০১টি পশু।

তথ্য সূত্রে আরও জানায়, এবার কোরবানিতে পশুর চাহিদার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ লাখ ২১ হাজার। চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলা এবং মেট্রো এলাকার তিনটি থানার ৮ হাজার ১৭১ জন খামারি মিলে ৭ লাখ ৯১ হাজার ৫০১ পশু পালন করা করেছে। এর মধ্যে মিরসরাই থানায় ৩৫৯, সীতাকুণ্ডে ২২০, সন্দ্বীপে ১২২, ফটিকছড়িতে ৩৩৬, রাউজানে ৪৪০, রাঙ্গুনিয়ায় ৪৩৭, হাটহাজারীতে ৫৩৪, বোয়ালখালীতে ৫১২, পটিয়ায় ৯৯৭, চন্দনাইশে ৬৫২, আনোয়ারায় ৮১০, সাতকানিয়ায় ৪৩৭, লোহাগাড়ায় ৭১৫, বাঁশখালীতে ৩২৪, কর্ণফুলীতে ৭৭৫, কোতোয়ালীতে ১১৭, ডবলমুরিংয়ে ১৩৯, পাঁচলাইশের ২৪৫ জন খামারি মোট ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০৩টি গরু, ৬৬ হাজার ২৩৭টি মহিষ, ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩৬২টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য ৯৯টি পশু লালন-পালন করেছেন। তবে এতো উৎপাদনের পরেও এ বছরে ২৯ হাজার ৪৯৯ পশুর ঘাটতি রয়েছে বলেও জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস।

এদিকে বর্তমান আর্থিক সংকটের কারণে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম থাকলে পশুর ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন খামারিরা। তারা বলছেন, মাত্র এক বছরেই পশুখাদ্যের দাম দ্রুত বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। আর অন্যদিকে আর্থিক সংকট মোকাবেলায় উৎপাদনের তুলনায় জনগণের চাহিদা কম থাকলে সঠিক দাম না পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরমধ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও যদি সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার-ভারত থেকে পশু আমদানি করে তাহলে দেশিয় পশুর দামের ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেছে খামারিরা।

চট্টগ্রামের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন সিভয়েসকে বলেন, এবার চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলা এবং মেট্রো এলাকার তিনটি থানার ৮ হাজার ১৭১ জন খামারি মিলে ৭ লাখ ৯১ হাজার ৫০১ পশু লালন-পালন করেছে। যার মধ্যে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০৩টি গরু, ৬৬ হাজার ২৩৭টি মহিষ, ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩৬২টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য ৯৯টি পশু রয়েছে। তবে এ বছরের কোরবানিতে পশুর চাহিদার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২৯ হাজার ৪৯৯ পশুর ঘাটতি রয়েছে। প্রতিবছরই এ ঘাটতি থাকে; তাই সেই হিসেব অনুযায়ী প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আমরা দেশের অন্যান্য স্থান থেকে আসা পশুর মাধ্যমে চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করবো।

তিনি আরও বলেন, বিগত অর্থবছরের তুলনায় এবারের অর্থবছরে পশু সংখ্যা বেড়ে ৯৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া অন্যান্য বছরগুলোর তুলনায় পশুসম্পদ খামারের সংখ্যাও বেড়েছে। তাছাড়া বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষিত জনগোষ্ঠীও বিভিন্ন পশু লালন- পালনে আগ্রহ দেখাচ্ছে। যা দেশীয় পশুর সংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ বলেও মন্তব্য করেন এ কর্মকর্তা।

-সিভয়েস/এমএম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়