Cvoice24.com

দেড় কোটি টাকার বিএমডব্লিউ’র দাম উঠলো মাত্র ১৩ লাখ

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:০১, ২৩ জুন ২০২২
দেড় কোটি টাকার বিএমডব্লিউ’র দাম উঠলো মাত্র ১৩ লাখ

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পর্যটন (কার্নেট দ্য প্যাসেজ) সুবিধায় আনা বিলাসবহুল ১০৮ গাড়ি কিনতে আগ্রহী ক্রেতারা (বিডার) দশদিন আগে নিলামের দরপত্র জমা দিয়েছেন। গত ২১ জুন দরপত্রগুলো খুলে সর্বোচ্চ দরদাতাদের বেছে নিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। তবে কোটি টাকার গাড়িগুলো সর্বনিম্ন ৫০ হাজার (৬০ নম্বর) থেকে সর্বোচ্চ ৫৩ লাখ (১০৮ নম্বর) টাকা দাম হেকেছেন ক্রেতারা। দেড় কোটি টাকার বিএমডব্লিউ’র সর্বোচ্চ দাম উঠেছে মাত্র ১৩ লাখ!

১ কোটি ৩৯ লাখ ১৬ হাজার ৯২৪ টাকার মিতসুবিশি গাড়িটি ৫০ হাজার টাকা সর্বোচ্চ দর হাকিয়েছেন বান্দরবানের মো. আবুল কাশেম। অপরদিকে ৪ কোটি টাকার রেঞ্জ রোভারটি ৫৩ লাখ টাকা দাম হাকিয়েছে ফারজানা ট্রেডিং।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ১ কোটি ৩৬ লাখ ৭৮ হাজার মার্সিডিজ বেঞ্জের গাড়িটি কিনতে ১০ লাখ ১০ হাজার টাকা দাম দিয়েছেন ঢাকার মাসুম শিকদার। ১ কোটি ৫৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকার বিএমডব্লিউ কিনতে ১৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা দাম হাকিয়েছেন চট্টগ্রামের তাজ ট্রেডিং, ১ কোটি ৩৪ লাখ ২৫ হাজার টাকার জিপ কিনতে ২৭ লাখ ৩১ হাজার টাকা দাম দিয়েছেন চট্টৎগ্রামের শাহ আমানত ট্রেডিং, ১ কোটি ৪৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকার লেক্সাজ কারটি কিনতে ১৩ লাখ ৫০ হাজার ৫শ টাকা দাম হাকিয়েছে ঢাকার সরকার অটোমোবাইল লিমিটেড, ১ কোটি ৯৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকার মিতসুবিশি শোগান কিনতে ১৩ লাখ ২ হাজার টাকা দাম দিয়েছেন চট্টগ্রামের আলিফা এন্টারপ্রাইজ, ১ কোটি ৪৯ লাখ ১৫ হাজার টাকার লেক্সাজ মডেলের দাম ১৮ লাখ ১০ হাজার টাকা সর্বোচ্চ দর দিয়েছে ঢাকার প্রতিষ্ঠান বিকাশ টি গমেজ। 

চট্টগ্রামের আর বি আর এপারেলস ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার লেক্সাস জিপটি ২৭ লাখ টাকা দাম দিয়েছেন। ১ কোটি ৯৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকার মিতসুবিশি জিপটি কিনতে ১০ লাখ ৩১ হাজার টাকা দাম হাকিয়েছেন মো. শাহদাত হোসেন। ৪ কোটি ৫ লাখ ১৩ হাজার টাকার ল্যান্ড রোভার কিনতে ২২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা দাম দিয়েছেন চট্টগ্রামের মো. নুরুল আবছার। চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লার এফ আর এম করপোরেশন ১ কোটি ৩৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকার মার্সিডিজ জিপ কিনতে ১৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা দাম দিয়েছে। ১ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকার জাগুয়ার কার ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকায় কিনতে সর্বোচ্চ দর দিয়েছে জিবিইএল কোম্পানি। 

ল্যান্ড ক্রুইজার গাড়িতে চট্টগ্রাম কাস্টমসের দেয়া ৩ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকার বিপরীতে ২১ লাখ ৫২ হাজার ৫শ টাকার সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন ঢাকার সরকার অটোমোবাইল লিমিটেড। ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকার টয়োটা ব্র্যান্ডের গাড়িটি কিনতে ৫৬ লাখ টাকা দাম দিয়েছে ঢাকার বাসিন্দা মো. শেখ গোলাম মোস্তফা। ১ কোটি ৭ লাখ টাকার মিতসুবিশি পাজেরো কিনতে ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা দাম দিয়েছেন চট্টগ্রামের মোরশেদ আক্তার চৌধুরী। ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪২ হাজার টাকার টয়োটা ল্যান্ডক্রুইজার গাড়িটি কিনতে ৩৫ লাখ টাকায় কিনতে সর্বোচ্চ দর দিয়েছে খুলনার সুগার জুট মিলস। চট্টগ্রামের মেসার্স এস এ ট্রেডিং এন্ড কোং ১ কোটি ৫৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার ল্যান্ড রোভার জিপটি কিনতে ২৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা সর্বোচ্চ দর হাকিয়েছে। 

হোন্ডা কোম্পানির ৪০ লাখ ৮২ হাজার টাকার গাড়িটি কিনতে ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাম দিয়েছে চট্টগ্রামের কদমতলী এলাকার মো. রফিকুল ইসলাম। ৯৬ লাখ ২১ হাজার টাকার দাইয়ো ব্র্যান্ডের গাড়িটি কিনতে ৫ লাখ ৮ হাজার ৬শ টাকা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন চট্টগ্রামের কালুরঘাটের মো. হাছান আলী। জাপানের তৈরি ১ কোটি ১০ লাখ ৪২ হাজার টাকার পাজেরো ব্র্যান্ডের গাড়িটি ৬ লাখ ৫০ হাজার ৫শ টাকায় কিনতে সর্বোচ্চ দাম হাকিয়েছেন ঢাকার প্রতিষ্ঠান সরকার অটোমোবাইলস লিমিটেড। ৫১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার ফোর্ড-৪ গাড়িটি কিনতে ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকার সর্বোচ্চ দরপত্র জমা দিয়েছেন চট্টগ্রামের শাহ আমানত ট্রেডিং। 

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার (নিলাম শাখা) মো. আল আমিন সিভয়েসকে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশি পর্যটকেরা বিশেষ সুবিধায় এসব গাড়ি এনেছিলেন। নানা কারণে এসব গাড়ি বন্দর থেকে খালাসও নেননি, ফেরতও নিয়ে যাননি। গাড়িগুলো নিলামে তুলতে সহজে ক্লিয়ারেন্স পারমিট (সিপি) পাওয়ার জন্য আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। তারা সবদিক বিবেচনা করে গাড়িগুলোর ওপর সিপি দিয়েছেন। আগ্রহী ক্রেতারা ১০৮ গাড়ির উপরেই দরপত্র জমা দিতে পেরেছেন। গত ২১ জুন আমরা দরপত্র খুলেছি। আমরা সবগুলো গাড়িতেই সাড়া পেয়েছি।  

উল্লেখ্য ২০১১-২০১২ সালের দিকে পর্যটকরা এই গাড়িগুলো আমদানি করেছেন। যারা গাড়িগুলো এনেছে তারা বাংলাদেশি। বাংলাদেশে কার্নেট দ্য প্যাসেজের আওতায় আনা গাড়ি শুল্কমুক্ত নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তখনই এধরনের সুবিধায় আনা গাড়ি খালাস স্থগিত করা হয়।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়