Cvoice24.com

কোরবানের আগেই বাড়লো পেঁয়াজের ঝাঁজ

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:৫২, ২৪ জুন ২০২২
কোরবানের আগেই বাড়লো পেঁয়াজের ঝাঁজ

কোরবানের আর মাত্র ১৫ দিন বাকি। এরমধ্যেই অস্থির হতে শুরু করেছে পেঁয়াজের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (২৪ জুন) নগরের খুচরা বাজারগুলোতে বড় আকারের দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা ও মাঝারি আকারের পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনতে পেরেছিলেন ক্রেতারা।

এদিকে চট্টগ্রামের বৃহত্তর ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জের পাইকারি মোকামেও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। সেখানে প্রতিকেজি বড় আকারের দেশি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং মাঝারি আকারের পেঁয়াজ ৩৭ থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আমদানি বন্ধ থাকায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে এখন কোন ভারতীয় পেঁয়াজ নেই।

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী সিভয়েসকে বলেন, সরকার আমাদের কৃষকদের লাভবান করতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রেখেছেন। এ কারণে আমাদের বাজারে এখন কোন ভারতীয় পেঁয়াজ নেই। ফলে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেড়ে গেছে। এ কারণে দামটাও বাড়তি।

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় কোরবানে সংকট তৈরি হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশি পেঁয়াজের যা সরবরাহ আছে তা দিয়ে ঈদ সামাল দেয়া যাবে। সংকট তৈরি হবার সম্ভাবনা দেখছি না। তবে পেঁয়াজের দর তো ওঠা-নামা করে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসলে দামটা কমে যেত। যেহেতু এখনও আমরা যেহেতু আমদানি অনুমতি পাইনি তাই ঈদের সময় সামান্য দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন (ক্যাব) চট্টগ্রামের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন সিভয়েসকে বলেন, ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের অজুহাতে প্রতিদিন দাম বাড়াচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে নজর দিতে হবে। বাজার মনিটরিং বাড়াতে হবে। পাশাপাশি ভোক্তা অধিকারকেও মাঠে নামতে হবে। অন্যথায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমবে না। 

এদিকে গত সপ্তাহের মতোই বিক্রি হচ্ছে সবজি। বাজারে প্রতিকেজি বরবটির ৫০ থেকে ৬০, বেগুন ৪০ থেকে ৫০, করলা ৪০, কাঁচা পেঁপে ৪০, পটল-ঢেঁড়স-ঝিঙে-চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০, কাঁচা কলার হালি ৩০ থেকে ৪০, কচুর লতি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দামেও পরিবর্তন আসেনি। বাজারে প্রতিকেজি রুই ৩০০, তেলাপিয়া- পাঙাস ১৫০ থেকে ১৮০, শিং মাছ ৩০০ থেকে ৪৫০, শোল ৪০০, কৈ মাছ ১৮০ থেকে ২০০ ও পাবদা মাছ ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তাছাড়া প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ টাকা, সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাশাপাশি প্রতিকেজি আমদানি করা রসুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা , দেশি রসুন ৮০ ও আদা ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়