পিছু হটলো সিএন্ডএফ এজেন্টরা
সিভয়েস প্রতিবেদক
তিন দফা দাবিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসসহ সারাদেশের সিএন্ডএফ এজেন্টদের দুদিনের লাগাতার কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ২৮ ও ২৯ জুন কর্মবিরতি পালনের কথা থাকলেও সরকারের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে ১৫ দিনের জন্য তা স্থগিত করেছে সিএন্ডএফ নেতারা।
সোমবার (২৭ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম কাস্টম সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু সিভয়েসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, কাস্টমস এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০, পণ্য চালান শুল্কায়নে এইচএস (হারমোনাইজড সিস্টেম কোড) এবং সিপিসি (কাস্টমস প্রসিডিউর কোড) নির্ধারণে প্রণীত আইন বাতিলের দাবিতে আগামী ২৮ ও ২৯ জুন একযোগে দেশের সব শুল্ক স্টেশনে আমাদের কর্মবিরতি পালন করার কথা ছিল। কিন্তু সরকারের উচ্চ মহলে এ বিষয়ে আমাদের সাথে আলোচনা হয়েছে। তারা ১৫ দিনের মধ্যে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। এ আশ্বাসে আমরা আগামী ১৫ দিনের জন্য আমাদের কর্মবিরতি স্থগিত করেছি।
এর আগেও একই দাবিতে গত ৭ জুন সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে দিনব্যাপী ধর্মঘট পালন করেছিল চট্টগ্রাম ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। এ কারণে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বিল অব এন্ট্রি, বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল, শুল্ক পরিশোধ সংক্রান্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
গত ১৮ মে লাইসেন্স নবায়নের দাবিতে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কর্মবিরতি কর্মসূচী পালন করেছিল সিএন্ডএফ এজেন্টরা।
চট্টগ্রাম কাস্টমসে প্রায় ৩ হাজার সিএন্ডএফ এজেন্ট আছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে প্রতিদিন ৭ হাজার বিল অব এন্ট্রি এবং বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল হয়। এরমধ্যে আমদানির পণ্যের জন্য ২ হাজার বিল এব এন্ট্রি এবং রপ্তানির পণ্যের জন্য ৫ হাজার বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল করা হয়।