Cvoice24.com

চট্টগ্রাম থেকে আমের চারা যাবে মালদ্বীপে

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:২৩, ২৮ জুন ২০২২
চট্টগ্রাম থেকে আমের চারা যাবে মালদ্বীপে

প্রচলিত পণ্যের পাশাপশি ওষুধি গাছের চারা, কলা এবং মাল্টার পর এবার চট্টগ্রাম থেকে মালদ্বীপে রপ্তানি করা হচ্ছে আমের চারা। আসন্ন ঈদের পর প্রাথমিকভাবে কার্গো বিমানে করে একশটিরও বেশি চারা দেশটিতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। 

বিদেশের মাটিতে দিন দিন দেশিয় ফলের গাছের চারার কদর বাড়ছে। চারার গুণগতমান বজায় রাখতে পারলে বিদেশে নতুন বাজার সৃষ্টির পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম ক্ষেত্র হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকার খাদেম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ঈদের পর পরই মালদ্বীপে আমের চারা রপ্তানি করবে।

উদ্যোক্তারা জানান, বাংলাদেশ থেকে সীমিত আকারে সারা বছর বিভিন্ন ধরনের সবজি রপ্তানি হয়ে থাকে, যার বেশির ভাগই যায় আকাশপথে। আগে খুবই কম সংখ্যায় উড়োজাহাজে গাছের চারা গেলেও সমুদ্র পথে এখন বেশি পরিমাণে চারা রপ্তানি হবে। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে রপ্তানির উপযুক্ত করে নার্সারিতে এসব ফলজ গাছের চারা তৈরি করা হচ্ছে। চারা তৈরির সময় সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক উপায় অনুসরণ করতে হয়। যথাযথ নিয়ম মেনে চলতে পারলে এ খাতে রপ্তানির সম্ভাবনা আরো বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।   

রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান খাদেম এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মো. কাউসার ভূঁইয়া সিভয়েসকে বলেন, ঈদের পর পরই আমরা আকাশপথে প্রাথমিকভাবে একশ’টির বেশি বিভিন্ন প্রজাতের আমের চারা মালদ্বীপে পাঠাবো। আমাদের দেশি এবং ওই দেশি নাগরিকরা যৌথভাবে চারাগুলো আমদানি করবেন। আমরা চারা পাঠালে তারা সেগুলো প্রথমে যাচাই করে দেখবেন। এরপরই আমরা বেশি পরিমাণে আমের চারা কনটেইনারে ভরে সমুদ্রপথে পাঠাবো। আমাদের চারাগুলো এখন কোয়ারেন্টাইনে রাখা আছে। 

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী আনোয়ার হোসেন সিভয়েসকে বলেন, চারা রপ্তানির ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম-কানুন মানতে হয়। সেটা এখন ভালোভাবেই মেনে চলা হচ্ছে। কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা নার্সারিতে গিয়ে দেখে আসেন। সেটার প্রতিবেদন জমা পড়লে তখনই রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিদেশের মাটিতে আমাদের দেশে উৎপাদিত ওষধি আর বিভিন্ন ফলজ চারার সুনাম বাড়ছে এবং চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ভবিষ্যতে রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাবে। রপ্তানির নতুন এই খাত সৃষ্টি হওয়ায় দেশের কৃষক যেমন লাভবান হবেন তেমনি দেশ আয় করবে বৈদেশিক মুদ্রা। যার ফলে অর্থনৈতিকভাবে দেশ  লাভবান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে গত বুধবার (২৭ এপ্রিল) কলা, আম, মাল্টাসহ ১৮ প্রজাতির ৪ হাজার ৬২টি ফলজ চারা রপ্তানি হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। সমুদ্রপথে বিদেশে গাছের চারা রপ্তানির এটি ছিল তৃতীয় চালান। ২২ দিনের মধ্যে সমুদ্রপথে চালানটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ বন্দরে পৌঁছায়। বাংলাদেশি, পাকিস্তানি, ইন্ডিয়ানরা এজেন্টভিত্তিক কাজ করে এসব চারা আমদানি করেছিল। বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মদনপুরে চারাগুলোর পরিচর্যা করা হচ্ছে।

সিভয়েস/টিএম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়