Cvoice24.com

দাম কমলো ডিমের, বাড়লো চালের

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ১৯ আগস্ট ২০২২
দাম কমলো ডিমের, বাড়লো চালের

দীর্ঘদিন ধরেই ভোগ্যপণ্যের বাজার কাঁপাচ্ছে ডিম-মুরগি। ঈদুল আজহার আগে-পরে কয়েকদিন কমতির দিকে থাকলেও হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় এ দুটি ভোগ্য পণ্যের দাম। গত সপ্তাহে মুরগির দাম ছিল ২শ আর ডজনপ্রতি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৫৫ টাকায়। চলতি সপ্তাহে মুরগির কেজিতে ৩০ টাকা এবং ডিমের ডজনে ২০ টাকা কমেছে। তবে আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। খুচরায় চালের বাজার রয়েছে আরো ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে দু থেকে তিন টাকা।

সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর অস্থির হয়ে উঠেছিল ডিম আর মুরগির বাজার। ব্যবসায়ীদের দাবি, জ্বালানির তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচ বেড়েছে। সে সঙ্গে সামাজিক অনুষ্ঠানের চাপ বেড়েছিল। তাই চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় ডিম আর মুরগির দাম ছিল আকাশছোঁয়া।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (১৯ আগস্ট) নগরের কর্ণফুলী মার্কেট এবং কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজকের বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সোনালি মুরগির দাম আগের মতোই কেজি ২৮০ থেকে ৩শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাজীর দেউড়ি বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. নেজাম সিভয়েসকে বলেন, গরমে অনেক সময় মুরগি মরে যায়। তাই অনেক খামারি লোকসান আতংকে ফার্ম বন্ধ রাখে। তাছাড়া পিকনিকসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে মুরগির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছিল। পাশাপাশি পরিবহন খরচ ও পোল্ট্রি ফিডের দাম বাড়ার কারণেও বেড়েছিল মুরগির দাম।

এদিকে কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম। ডজনপ্রতি কমেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। বর্তমানে প্রতিডজন ডিম ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

কর্ণফুলী মার্কেটের ডিম বিক্রেতা মো. হানিফ সিভয়েসকে বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় ডিম বিক্রি কমে গিয়েছিল। আমাদের কাছে আগের কেনা ডিমও রয়ে গেছে। পাশাপাশি বাজারে এখন ডিমের সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। তাই ডিমের দাম কমেছে।

এদিকে গত একসপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকা চালের বাজার আরও চড়েছে। খুচরায় চালের কেজিতে বেড়েছে  দু থেকে তিন টাকা। কেজিতে ২ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি মিনিকেট চাল ৭২ থেকে ৭৫ টাকা, বিআর-২৮ জাতের চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা ও স্বর্ণা ৬০ টাকা কেজিতে  বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া কেজিতে তিন টাকা বেড়ে প্রতিকেজি নাজিরশাইল ৭৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

নগরের হালিশহর এলাকার ভাই ভাই স্টোরের মালিক মো. এমদাদ সিভয়েসকে বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ কেজি চালের বস্তায় নতুন করে আরো ৫০ টাকা বেড়েছে। আমাদের পরিবহন খরচ, মজুরি, দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ খরচ তো আছেই। তাই খুচরায় চালের জাতভেদে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। চালের বাজার দর আরো বাড়বে বলে জানান এ বিক্রেতা। 

এদিকে সবজির বাজারে মিলছে না সুখবর। আগের বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বাজারে প্রতিকেজি বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ৬০, কাকরোল ৩০ থেকে ৫০, কাঁচা পেঁপে ৩৫, পটল ৩০ থেকে ৪০, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি কচুর লতি, ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। তাছাড়া প্রতিকেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।

তাছাড়া খুচরা দোকানগুলোতে প্রতিকেজি চিনি ৭৯, মসুর ডাল ৯৩, মটর ডাল ৬০, পেঁয়াজ ৪৫, আদা ৬২ ও রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

-সিভয়েস/টিএম/পিবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়