Cvoice24.com

লোকসান আতঙ্কে কমেছে আদার আমদানি, কেজিতে দাম বেড়েছে ৩৫ টাকা

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:৩৫, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
লোকসান আতঙ্কে কমেছে আদার আমদানি, কেজিতে দাম বেড়েছে ৩৫ টাকা

ছবি-সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে বেড়েছে চায়না থেকে আমদানি করা আদার দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির কেজিতে দাম বেড়েছে ৩৫ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং দর বেশি থাকায় লোকসান আতঙ্কে দেশের আমদানিকারকরা পণ্যটির আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। তাই দেশীয় বাজারে আদার দাম বেড়ে গেছে বলে জানালেন আড়তদাররা।

খাতুনগঞ্জে পাইকারি দোকানগুলোতে গত সপ্তাহে চায়না থেকে আমদানি করা আদা ১শ টাকায় বিক্রি হলেও আজ পণ্যটির দাম ঠেকেছে ১৩৫ টাকায়। পাশাপাশি মায়ানমার থেকে আমদানি করা আদা ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী সিভয়েসকে বলেন, ডলারের দাম বাড়ার কারণে আমদানিকারকরা লোকসান আতঙ্কে চায়না থেকে আদার আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। সে কারণে এখন পণ্যটির সরবরাহ কমে গেছে। তাই দাম কিছুটা বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং দর কমে গেলে আমদানিকারকরা বেশি পরিমাণে পণ্য আমদানি করবেন। সরবরাহ বাড়লে দাম এমনিতেই কমে যাবে।

তিনি বলেন, ডলারের দাম বাড়ার পরও গত কয়েক মাস ঝুঁকি নিয়ে আদা, রসুন আমদানি করেছেন। কিন্তু দাম বাড়ার কারণে আমাদের এখানে বেচাবিক্রি কমে গেছে। এ কারণে আমদানি কম। ক্রেতা না থাকার কারণে আদা, রসুনের গুণগত মান হারাচ্ছে। তাই দামও কমে যাচ্ছে। আমরাও খুব শঙ্কায় সময় পার করছি।

বাজারে স্বস্তি ফেরেনি সবজির বাজারে। প্রতিকেজি বেগুন-দেশি শসা ৬০, পটল ৪০, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা ও বাঁধাকপি ৫০, টমেটো ১২০, গাজর ১৩০ টাকা, কাঁকরোল ৬০, লাউ আকারভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চালকুমড়া ৪০, ছোট আকারের ফুলকপি ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে প্রতিকেজি রুই ২২০, তেলাপিয়া ২শ, পাঙাশ ১৬০, শিং ৩৫০, কই ২শ থেকে ২৫০ টাকা ও পাবদা ৫শ' টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া বড় সাইজের ইলিশ এক হাজার ২০০ টাকা, মাঝারি আকারের ইলিশ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় ও ছোট সাইজের ইলিশ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তাছাড়া বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০, সোনালি মুরগি ৩২০ এবং দেশি মুরগি ৫শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়