Cvoice24.com

নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে না তেল-চিনি, ‘নিষেধাজ্ঞায়’ ঊর্ধ্বমুখী ইলিশ

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:০৭, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে না তেল-চিনি, ‘নিষেধাজ্ঞায়’ ঊর্ধ্বমুখী ইলিশ

ছবি-সংগৃহীত

আট দিন আগে পাম তেল ও চিনির দাম কমিয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। অথচ খুচরা বাজারগুলোতে এর কোন প্রভাব পড়েনি। বিক্রেতারা বিক্রি করছেন আগের দরেই। এদিকে আগামী মাস থেকে মাছ ধরা বন্ধের ঘোষণার আজুহাতে বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ২শ টাকা। 

গত ২২ সেপ্টেম্বর পাম তেলের দাম লিটারপ্রতি ১২ টাকা আর চিনিতে কেজিপ্রতি ৬ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় সরকার। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন দর কার্যকরের সিদ্ধান্তও দেয়া হয়। নতুন দর অনুযায়ী, পামতেল লিটারপ্রতি ১৩৩ ও চিনি কেজিপ্রতি ৮৯ টাকায় বিক্রি করার কথা। অথচ খুচরা দোকানগুলোতে এখনও পাম তেল ১৪৫ টাকা এবং খোলা চিনি ৯০ ও প্যাকেটজাত চিনি ৯৫ টাকাতেই বিক্রি হচ্ছে।

নগরের হালিশহর এলাকার আল মক্কা স্টোরের মালিক মো. সাহেদ সিভয়েসকে বলেন, তেলের দাম বাড়ার কারণে বেশিরভাগ মানুষ অল্প পরিমাণে তেল কিনছেন। তাই আমাদের আগের দরে কেনা তেলগুলোর বিক্রি শেষ হয়নি। আগের দামে কেনা তেল যদি নতুন দামে বিক্রি করতে যাই, তাহলে আমরাই লোকসানে পড়ে যাবো।

নগরের ঈদগা কাঁচাবাজারে ক্রেতা মো. এনামুল হক বলেন, সরকার দাম বাড়ানোর ঘোষণা কানে এলেই ব্যবসায়ীরা সঙ্গে সঙ্গে পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি শুরু করে দেন। আর সরকার কোন পণ্যের দাম কমালে ব্যবসায়ীরা দাম কমাতে নানা অজুহাত দেখান, নানা গড়িমসি করেন। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া খুবই জরুরি। 

এবিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সিভয়েসকে বলেন, আমরা তো প্রতিনিয়তই বাজার তদারকি করছি। পাশাপাশি ভোক্তার কাছ থেকে অভিযোগ পেলেই আমরা সেটা গুরুত্ব দিয়েই সমাধান করি। কেউ বাড়তি দরে তেল বিক্রি করছে কিনা সেটা আমরা অভিযান পরিচালনাকালে অবশ্যই খতিয়ে দেখব। আমরা অভিযান শেষ করে চলে গেলে অসাধু ব্যবসায়ীরা আবার আগের মত বাড়তি দাম নেয়ার পাঁয়তারা করেন। কাজেই ক্রেতাদের আরো বেশি সচেতন হতে হবে এবং আমাদের কাছে অভিযোগ জানালে আমরা সেটা অবশ্যই দেখবো।

এদিকে মা-ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করার লক্ষ্যে আগামী ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারা দেশে ধরা বন্ধের ঘোষণা দেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এটিকে পুঁজি করে সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫০ থেকে ২শ টাকা। বড় সাইজের ইলিশ গত সপ্তাহে ১২শ টাকায় বিক্রি হলেও আজ ১৪শ টাকা, মাঝারি সাইজের ইলিশে ১৫০ টাকা বেড়ে ৮শ টাকা ও ছোট সাইজের ইলিশ ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

ঈদগাঁ কাচা বাজারের মাছ বিক্রেতা মো. শফি সিভয়েসকে বলেন, বাজারে মাছের সরবরাহ ভাল। কিন্তু আগামী মাস থেকে আর মাছ ধরা যাবে না। এ ঘোষণায় মাছের দাম বেড়ে গেছে। সামনে আরো বাড়বে।

এদিকে সবজির বাজারে প্রতিকেজি বেগুন-দেশি শসা ৬০, পটল ৪০, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা ও বাঁধাকপি ৫০, টমেটো ১২০, গাজর ১৩০ টাকা, কাঁকরোল ৬০, লাউ আকারভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চালকুমড়া ৪০, ছোট আকারের ফুলকপি ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তাছাড়া বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০, সোনালি মুরগি ৩২০ এবং দেশি মুরগি ৫শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৬৮০ ও খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়