Cvoice24.com

বে-টার্মিনালে ওয়্যার হাউজ করতে ১০০ একর জমি চায় বাফা

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ২১ জানুয়ারি ২০২৩
বে-টার্মিনালে ওয়্যার হাউজ করতে ১০০ একর জমি চায় বাফা

নিজস্ব ওয়্যারহাউজ বানাতে বে-টার্মিনালে ১০০ একর জমি চেয়েছে বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা)। সেখানে ওয়্যারহাউজ বা গুদাম বানিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে একসাথে কাজ করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। এতে করে এক ছাদের নিচে বসে আমদানি-রপ্তানিকারদের সেবা দেয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা। 

শনিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরে সংসদীয় কমিটির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এ প্রস্তাবটি দেয় বাফার নেতারা। পাশাপাশি বে-টার্মিনালে একটি টার্মিনাল তৈরি করে পণ্য ডেলিভারির ব্যবস্থা করার প্রস্তাবটিও বৈঠক থেকে।

বাফার নেতারা বলছেন, নিজস্ব ওয়্যারহাউজ না থাকায় পণ্যের ডেলিভারির যাবতীয় কার্যক্রম বন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় ও শেডে সম্পাদন করতে হয়। এতে বন্দরের বড় জায়গা যানবাহন এবং আমদানি পণ্যে দখল হয়ে থাকে। কিন্তু নিজস্ব ওয়্যারহাউজ থাকলে এ সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যেতো। পোশাক শিল্পের রপ্তানি পণ্যের সিংহভাগ এবং এলসিএল কনটেইনারে করে আমদানি পণ্যের শতভাগ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডাররাই হ্যান্ডলিং করছে। অথচ বন্দর এলাকায় বাফার নিজস্ব ওয়্যারহাউজ গড়ে তোলার ব্যাপারে গত এক দশক ধরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে অনেক বার সহযোগিতা চাওয়া হলেও তেমন সাড়া মেলেনি। 

চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস হাউজের দায়িত্বপ্রাপ্ত বাফার পরিচালক খায়রুল আলম সুজন সিভয়েসকে বলেন, আমাদের নিজস্ব কোন ওয়্যারহাউজ বা গুদাম নেই। তাই আমরা বে-টার্মিনালে ১০০ একর জমি চেয়ে সংসদীয় কমিটির কাছে প্রস্তাব দিয়েছি। আমরা সেখানে নিজস্ব ওয়্যারহাউজ করতে চাই। বন্দরের সাথে যৌথভাবে কাজ করলে এতে একদিকে বন্দর লাভবান হবে, অপরদিকে কাস্টমসেরও চাপ কমে যাবে। আমরা সবাই মিলে আমদানি-রপ্তানিকারকদের পরিপূর্ণ সেবা দিতে পারব। পাশাপাশি আমরা বলেছি, বে-টার্মিনালে একটি টার্মিনাল করে দিতে। এতে করে ওইদিক দিয়েই পণ্য নিয়ে গাড়িগুলো শহরের বাইরে চলে যেতে পারবে। ফলে শহরে যানজট কমে যাবে এবং চট্টগ্রাম বন্দরের উপর চাপটাও কমে যাবে।  

বন্দর ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির সদস্য হিসেবে বৈঠকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাংসদ এম এ লতিফ উপস্থিত ছিলেন। এসময় বন্দর কর্মকর্তাদের পাশাপাশি শিপিং এজেন্ট, বাফা, বিজিএমইএ ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে চট্টগ্রামে খালি কনটেইনারে করে কিশোরের মালেশিয়া যাওয়ার ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোচিত। অথচ সংসদীয় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও এ প্রসঙ্গে কথা তোলেন নি কেউই।

বৈঠকে উপস্থিত থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী সিভয়েসকে বলেন, আজ সংসদীয় কমিটির সাথে অনুষ্ঠিত হওয়া বৈঠকে শুধু বন্দরের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা এসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। অথচ বন্দর দিয়ে কিশোর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ও বন্দরের নিরাপত্তার বিষয়ে কোন আলোচনায় উঠেনি।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়