Cvoice24.com

আবার বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ, স্বস্তি নেই সবজিতেও

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:৫৮, ১৭ মার্চ ২০২৩
আবার বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ, স্বস্তি নেই সবজিতেও

টানা কয়েক সপ্তাহ স্থিতিশীল থাকার পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। গত তিনদিনে পাইকারিতে পণ্যটির দাম কেজিতে বেড়েছে ১৪ টাকা। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার পরিমাণ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এদিকে বাজারে সবজিতেও ক্রেতাদের স্বস্তি দিচ্ছে না। কোনো সবজির দাম কমেনি, বরং কিছু সবজির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে।

চট্টগ্রামের বৃহত্তর ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনদিন আগেও খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ২৪ থেকে ২৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৩২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১৫ থেকে ১৬ টাকায়। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকায়।

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী বলেন, গত একমাসে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার পরিমাণ কমেছে। প্রতিবছর এই সময়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা কমে যায়। তাই পেঁয়াজের বাজার কিছুটা অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে।

পাইকারিতে দাম বাড়ার কারণে খুচরা বাজারেও বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। খুচরায় প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় এবং দেশি পেঁয়াজ ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে খাতুনগঞ্জে বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে মণপ্রতি ২শ’ টাকা বেড়ে সয়াবিন তেল ৬ হাজার ৫৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া মণপ্রতি ২৪০ টাকা বেড়ে পামতেল ৪ হাজার ৯৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সুপার সয়াবিন মণপ্রতি আগের ৫ হাজার ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে খুচরা বাজারে প্রতিলিটার খুচরা তেল ১৯০ থেকে ১৯২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল খুচরায় ১৮৬ টাকা ও পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি পলিব্যাগ লিটারপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।

খাতুনগঞ্জে শরীফা স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ তওকীর সিভয়েসকে বলেন, ভোজ্যতেল মণপ্রতি ২শ’ টাকার বেশি বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি আমাদের দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ায় পরিশোধন ব্যয়ও বেড়েছে। তাই আমদানিকারকরা আমাদের যে দামে তেল সরবরাহ করছেন, আমরা সে দামেই বিক্রি করছি।

এদিকে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন সবজি। বাজারে প্রতিকেজি ঢেঁড়শ ও তিত করলা ৯০, লতি ৬০, বরবটি ৮০, চিচিঙ্গা ৬০, ঝিঙ্গা ৮০, শসা ৪০, গাজর ও বাঁধাকপি ৩০, মুলা ৪০, কাঁচামরিচ ১শ’, টমেটো ও আলু ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া ফুলকপি, বেগুন ও শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। 

তাছাড়া মাছের বাজারে ফেরেনি স্বস্তি। বাজারে প্রতিকেজি রুই ২৮০, কাতলা ৩শ’, তেলাপিয়া ২শ’, লইট্যা ১৬০, পাঙ্গাস ১৪০, পাবদা ৫৫০, পোয়া ১৮০, শোল ৪৮০, চিংড়ি ৬শ’ ও শিং মাছ ৫শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

মুরগির বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ২৪০, লেয়ার ২৯০ টাকায় এবং সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া হাড়সহ গরুর মাংস ৭৫০ ও হাড় ছাড়া গরুর মাংস ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১শ’ টাকায়।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়