চট্টগ্রামে দাম নামছে মুরগির
সিভয়েস প্রতিবেদক
অস্থির মুরগির বাজারে ফিরছে স্বস্তির বাতাস। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম নেমেছে ১৮৫ টাকা পর্যন্ত। আগের দরে বিক্রি হচ্ছে মাছ ও গরুর মাংস । তবে ৫০ থেকে ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোন সবজি।
দুসপ্তাহ আগে চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর, ঈদগা ও পাহাড়তলী বাজারে ২১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি শুক্রবারের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকায়। তবে চট্টগ্রামের কিছু কিছু বাজারে ২০০ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে মুরগি। সোনালি মুরগির কেজি ৩শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৮শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নগরের ঈদগা কাচাবাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. সুমন সিভয়েসকে বলেন, কোরবানে মুরগির চাহিদা কমে যায়। তাই এখন থেকে কমতির দিকে রয়েছে মুরগির বাজার। আশা করছি কোরবানের আগে মুরগির দাম আর বাড়বে না।
এদিকে ৫০ থেকে ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোন সবজি। বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ১শ, কচুমুখী ১শ, লাউ ৪০ থেকে ৫০, ঢেড়শ ৪০, কচুর লতি ৬০, পেঁপে ৪০, পটল ৫০, চাল কুমড়া ৫০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, বরবটি ৬০, চিচিঙ্গা ও ঝিঙ্গে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারেও মিলছে না স্বস্তি। বাজারে প্রতিকেজি রুই ২২০, কাতলা ৩শ, পাবদা ৪৫০, টেংরা ৪৫০ থেকে ৫শ, চিংড়ি ৬শ থেকে ৬৫০ ও পাঙ্গাস ২১০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেসরকারি চাকরিজীবী মো. লোকমান সিভয়েসকে বলেন, মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। তবে মাছ, সবজি সবকিছুর দাম বাড়তি। ভারত থেকে পেয়াজ আমদানির পরও বাজারে ৬০ টাকায় ভারতীয় পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এটা বহন করা আমাদের জন্য কষ্টের।
এদিকে আগের মতোই খুচরা দোকানগুলোতে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮৫ ও বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিকেজি খোলা ময়দা ৬৫ টাকা ও প্যাকেটজাত ময়দা ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া খোলা আটা ৫৫ টাকা ও প্যাকেটজাত আটা ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাশাপাশি প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। প্রতিকেজি চিনি ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া বড় আকারের লেবু ডজনপ্রতি ৩০ ও মাঝারি আকারের লেবু ডজনপ্রতি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।