৫২ টাকার পেঁয়াজ ৭০ টাকায়!
সিভয়েস প্রতিবেদক

চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমলেও খুচরায় এর প্রভাব পড়েনি। উল্টো খুচরা বাজারে পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দরেই। অন্যদিকে মাছ-সবজির দামের নড়চড় না হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে গেছে কেজিতে আরও ১০ টাকা।
চট্টগ্রামের বৃহত্তর ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে গতসপ্তাহে ৫৮ টাকা দরে প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে৷ শুক্রবার পাইকারিতে এটি বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়। অথচ কর্ণফুলী, কাজীর দেউড়ির খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। নগরের বিভিন্ন অলিগলিতে ৭৫ টাকায়ও বিক্রি করতে দেখা গেছে।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস সিভয়েসকে বলেন, স্থলবন্দরগুলো দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। তাই সেখানে দাম কমায় পাইকারিতেও দাম কমে গেছে। তাই খুচরায় প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬০ টাকার বেশি বিক্রি করা উচিত না।
নগরের ঈদগা কাচাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. সোহান সিভয়েসকে বলেন, আমাদের দোকানভাড়া, বিদ্যুত আর পরিবহন খরচ আছে। ৭০ টাকার নিচে বেচলে লোকসান হবে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগীতে বেড়েছে ১০ টাকা। গতসপ্তাহে ১৬০ টাকায় বিক্রি হলেও আজ স্থানভেদে পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়।
ঈদগা বাজারে মুরগি বিক্রেতা মো. শাহীন বলেন, বৃষ্টির কারণে আজ বাজারে মুরগির সরবরাহ কম। চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছে।
এদিকে সবজির বাজারে প্রতিকেজি কাচামরিচ ১২০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০, টমেটো ১৫০, ঝিঙা ৭০, চিচিঙ্গা ৭০ থেকে ৮০, শসা ৪০, পেপে ৪০, ঢেড়শ ৬০, পটল ৬০, ধুন্দল ৬০ ও কচুমুখী ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তাছাড়া মাছের বাজারে প্রতিকেজি পাংগাস ২শ, তেলাপিয়া (মাঝারি) ২৬০, প্রতিকেজি ইলিশ ১২শ, রুপচাঁদা ৮শ, লইট্টা ২২০ ও কোরাল ৬৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।