সবজির দামে স্বস্তি, পেঁয়াজে টেনশন
দেবাশীষ চক্রবর্তী
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কড়াকড়ির সময় আরও দীর্ঘ হওয়ায় আবারও বাড়তে পারে পেঁয়াজের দাম। ফাইল ছবি।
সবজির দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও মাছে উত্তাপ কমেনি। কোনো লাগাম নেই ব্রয়লার মুরগির দামে। একদিনের ব্যবধানেই ২০ টাকা বাড়ল। অন্যদিকে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কড়াকড়ির সময় আরও দীর্ঘ হওয়ায় আবারও বাড়তে পারে পেঁয়াজের দাম। শুক্রবার চট্টগ্রামের পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকায়। এদিকে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে গতকাল থেকে পেঁয়াজ সরবরাহ কমে গেছে বলে জানান সাইফুল নামে এক দোকানি।
তিনি সিভয়েসকে বলেন, ‘গতকাল দোকানের জন্য পেঁয়াজ কিনতে গেলে সরবরাহ কম বলেছেন আড়তদাররা। দুই বস্তা চাইলে এক বস্তার বেশি দিতে পারছেন না তারা।’ অপর একজন ব্যবযায়ী বলেছেন, ‘আগামীকাল পেঁয়াজের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা আছে। অনেক আড়তদার বাজারে পেঁয়াজ ছাড়ছেই না। ইন্ডিয়া থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের সুযোগে কেজিপ্রতি মূল্য ১৫টাকা বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে।’
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস সিভয়েসকে বলেন, ‘বর্তমানে পাইকারি মূল্যে কেজিপ্রতি ১০০-১০৫ টাকায় মিলছে পেঁয়াজ। ভারত সরকারের পেঁয়াজ আমদানিতে বাধা থাকার সময় দীর্ঘ হওয়ার কারণে দামের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে। তবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দেশি পেঁয়াজ আসা শুরু হবে বলেও জানান মোহাম্মদ ইদ্রিস। নগরের বকসিরহাট এলাকায় আজ ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৯০ টাকায়।
গতকাল ছিল কেজিপ্রতি ১৭০ টাকা। এছাড়া প্রতিকেজি সোনালী মুরগি ৩৩০, লেয়ার ৩৬০ ও দেশি মুরগি ৫৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ডিমের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। শুক্রবার প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, প্রতি ডজন হাঁসের ডিম বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা।
ডিম বিক্রেতা জোনায়েদ সিভয়েসকে বলেন, ‘সরবরাহ বেশি থাকলে এবং আমাদের কেনা দাম কম পড়লে কম দামে বিক্রি করা যায়। বর্তমানে সরবরাহ বাড়ছে এবং গরম কম থাকায় ডিম নষ্ট হচ্ছে না।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা কমে টমেটো ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ২০ টাকা কমে শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। শীতকালীন সবজী বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, গাঁজর ৭০ টাকা। এছাড়া প্রতিকেজি বেগুন ৬০-৭০, পটল ৬০, মিষ্টি লাউ ৫০, করলা ৭০ থেকে ৮০, চিচিঙ্গা ৫০, ঢেঁড়শ ৬০, লাউ ৫০ ও কচুরমুখী ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি জোড়া লেবু বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। তবে এখনও দামের উত্তাপ রয়েছে মাছের বাজারে । রুই মাছ বিক্রি ৩০০টাকা, পাবদা ৪৫০, রুপচাঁদা (বড়) ১ হাজার, রুপচাঁদা (ছোট) ৮শ, তেলাপিয়া ২৪০ ও পাঙ্গাস ২শ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।