Cvoice24.com

একলাফে ২০ টাকা বেড়ে কমলো মাত্র ৩

মিনহাজ মুহী, সিভয়েস২৪

প্রকাশিত: ১১:২৯, ৩ মার্চ ২০২৪
একলাফে ২০ টাকা বেড়ে কমলো মাত্র ৩

রোজা সামনে রেখে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা গেঁড়ে বসেছে। কখনো পেঁয়াজ-আদা, চিনি, কখনোবা চাল-ডালের বাজারে অস্থিরতা। এমন অবস্থায়ও স্বস্তির খবর ছিল— দেশি রসুন বাজারে এলে কমবে চায়না রসুনের দাম। অথচ দেশি রসুন বাজারে আসতেই উল্টো কেজিপ্রতি দাম বেড়ে গেছে ২০ টাকা। যা বস্তায় (২০ কেজি) প্রায় ৪০০ টাকা। তবে একলাফে ২০ টাকা বেড়ে শনিবার থেকে কেজিতে কমেছে মাত্র তিন টাকা!

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশি রসুন এসেও দাম কমাতে পারেনি। আর দেশি রসুন যা আসছে তা দিয়ে মনে হয় চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। অন্যদিকে আমদানি বেশি হওয়ার কারণে বাজারে চায়না রসুনের রাজত্ব চলছে। তাই দাম কমে আবার বেড়েছিল। তবে এখন গত সপ্তাহের চাইতে একটু কমেছে।

রবিবার (৩ মার্চ) সকালে ভোগ্যপণ্যের বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানভেদে প্রতিকেজি চায়না রসুন ১৮০ থেকে ১৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি রসুন মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। তবে গত বৃহস্পতিবারের তুলনায় গতকাল শনিবার (২ মার্চ) থেকে রসুনের (চায়না) দাম মানভেদে ৩ থেকে ৫ টাকা কমেছে। আর দেশি রসুনে কমেছে মানভেদে ১০ থেকে ১৫ টাকা। বর্তমানে বস্তাপ্রতি (২০ কেজি) চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬৪০ টাকা ( প্রতিকেজি ১৮২ টাকা ধরে)। আর দেশি রসুন বস্তাপ্রতি ২ হাজার ১০০ টাকা (প্রতিকেজি ১০৫ টাকা ধরে) বিক্রি হচ্ছে।

মেসার্স রহমত ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকার মো. নাজিম বলেন, ‘দেশি রসুন বাজারে এলে চায়না রসুনের দাম কমার কথা ছিল। তবে তা হয়নি। উল্টো আরও কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। তবে গত বৃহস্পতিবারের তুলনায় শনিবার থেকে চায়না রসুনের দাম প্রতিকেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা কমেছে। আর দেশি রসুনে কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন দেশি রসুন বাজারে আসা শুরু করে ওই সময়ের হিসাবে বর্তমানে রসুনের (দেশি) দাম প্রায় ৪০ টাকা কমেছে। তখন দাম ছিল মানভেদে প্রতিকেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। আর চায়না রসুনের দাম ছিল ১৬৫ টাকা। পরে তা প্রতিকেজিতে ২০ টাকা বেড়ে দাম ঠেকে ১৮৫ টাকায়। শনিবার (২ মার্চ) থেকে সেটি মানভেদে ১৮০ থেকে ১৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’

মাসের ব্যবধানে রসুনের দামে বারংবার ‘হেরফের’

গত ১ ফেব্রুয়ারি পাইকারিতে প্রতিকেজি রসুন (চায়না) বিক্রি হয়েছিল ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা। এর দুদিন পর ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দাম কমতে শুরু করে । সেদিন মানভেদে বিক্রি হয়েছিল ১৭৩ থেকে ১৭৫ টাকায়। পরে বাজারে দেশি রসুন আসার খবরে চায়না রসুনের দাম কমে গিয়ে ঠেকে প্রতিকেজি ১৬৫ টাকায়। তবে সেটি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আবারও দাম বাড়ে চায়না রসুনের। যা প্রতিকেজি ১৮৫ টাকায় বিক্রি হয়। সবশেষ  প্রতিকেজি তিন থেকে পাঁচ টাকা কমে বর্তমানে ১৮০ থেকে ১৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন সিভয়েস২৪-কে বলেন, ‘খাতুনগঞ্জে প্রতিদিনই পণ্য সরবরাহ বাড়ছে। সপ্তাহখানেক আগে থেকে বাজারে দেশি রসুন আসছে। তবে চায়না রসুনও আমদানি হচ্ছে। আর রসুনের একটু চাহিদা বেশি থাকায় দাম বাড়ছে। এছাড়া দেশি রসুনের চেয়ে চায়না রসুন একটু মানে ভালো। তাই এর চাহিদাও একটু বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘খাতুনগঞ্জে কোনো ধরনের পণ্যের সংকট নেই। খাতুনগঞ্জে সরবরাহ বাড়ছে। এছাড়া রমজানকে ঘিরে যেসব পণ্য প্রয়োজন; খাতুনগঞ্জে সেসব পণ্যের কোনো সংকট নেই।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: