Cvoice24.com

কারফিউ : সবজির যোগান কম, ক্রেতাও কম

শুভ্রজিৎ বড়ুয়া, সিভয়েস২৪

প্রকাশিত: ১৭:৫১, ২৬ জুলাই ২০২৪
কারফিউ : সবজির যোগান কম, ক্রেতাও কম

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশব্যাপি জারি করা কারফিউর কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কম। সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। শুক্রবার (২৬ জুলাই) চট্টগ্রাম নগরের কর্নেলহাট, অলংকার, বহদ্দারহাট ও কর্ণফুলী (দুই নম্বর গেট) সিটি কর্পোরেশন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, কারফিউ শুরু হওয়ার আগের দিন (১৮ জুলাই) কাঁচা মরিচ ১৫০-২০০, আলু ৫৫-৫৬, বেগুন ৬৫-৭০, কাঁচা পেঁপে ৬০-৬৫, ক্ষিরা ৬০-৬৫, শশা ৬৫-৭০, কচুরলতি ৫৫-৬০, বরবটি ৮৫-৯০, পটল ৪০-৪৫, ঢেড়স ৫০-৫৫, চালকুমড়া ৪৫-৫০, মিষ্টিকুমড়া ২৫-৩০, লাউ ৪০-৪৫, মুখিকচু ৬৫-৭০, করলা/উচ্ছে ৭০-৯০, কাঁকরোল ৭৫-৮০, ঝিংগা ৬৫-৭০, ধুন্দল ৫৫-৬০, চিচিংগা ৪৫-৫০, টমেটো ৯০-১০০, বাঁধাকপি ৩০-৪০, মূলা ৪০-৪৫, গাজর ৯০-১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। 

অন্যদিকে দেশি মুরগি ৫৮০-৬২০, সোনালি মুরগি ৩২০-৩২৫, ব্রয়লার মুরগি ১৬৫-১৭০, গরু (হাড়সহ) ৭৫০-৮০০, গরু (হাড় ছাড়া) ৮৫০-৯০০, খাসী (দেশি) ১০৫০-১১০০, রুই (দেশি) ২৮০-৩২০, রুই (আমদানি) ৩০০-৩৫০, কাতল (দেশি) ২৭০-৩০০, কাতল (আমদানি) ৩০০-৩২০, পাঙ্গাস ১৬০-১৮০, পোয়া মাছ ২০০-২৮০ টাকায় বিক্রি হয়। 

এক সপ্তাহের ব্যবধানে দামে কিছুটা হেরফের রয়েছে সবজিবাজারে। এর মধ্যে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। এটি বিক্রি হচ্ছে কেজি ৪০০ টাকায়। আর আলু ৬০-৬৫ টাকায়, বেগুন ৫০-৮০, কাঁচা পেঁপে ৫০-৬০, শশা ৬০-৭০, কচুরলতি ৫৫-৬০, বরবটি ৭০-৯০, পটল ৪০-৬০, ঢেঁড়স ৪০-৬০, চালকুমড়া ৪৫-৫০, মিষ্টিকুমড়া ৩০-৫০, লাউ ২৫-৪০, করলা/উচ্ছে ৬০-৯০, কাঁকরোল ৭০-১০০, ঝিংগা ৬০-৭০, ধুন্দল ৫০-৬০, চিচিংগা ৪৫-৫০, টমেটো ৯০-১০০, বাঁধাকপি ৩০-৪০, গাজর ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

মাছের বাজারে কেজিপ্রতি রুই ৩৮০-৪০০, পাঙ্গাশ ২০০, তেলাপিয়া ২০০-২৬০, দেশি টেংরা ৮০০ ও পাবদা ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১৫০ টাকা দরে। মুরগির মধ্যে চাহিদা বেশি ব্রয়লার মুরগির। কেজিপ্রতি দাম ১৬৫-১৭০ টাকা। 

বাজারদর নিয়ে অলংকার বাজারের বিক্রেতা আলমগীর বলেন, ‘এটি ঠিক যে কারফিউর জন্য আমাদের পরিবহন খরচ বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে গাড়িও ঠিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু ক্ষেত্রে গাড়ি পেলেও কয়েক দফায় ভেঙে ভেঙে বাজারে পণ্য তুলতে হয়েছে। সে অনুপাতে দাম খুব একটা বাড়েনি। কারণ এ সময়ে মানুষ বাজারে খুব কম এসেছে। ঘরে যা আছে, তা নিয়ে সপ্তাহ পার করেছে। কারফিউ যদি আরও কিছুদিন চলে তখন কিছুটা দাম বাড়তে পারে।’

কর্ণফুলী বাজারের বিক্রেতা মোশাররফ বলেন, ‘দামের মধ্যে কাঁচা মরিচের দামটাই বেশি বেড়েছে। কিছু পণ্যের দাম ৫-১০ টাকা বেড়েছে, আবার কিছু পণ্যের ৫-১০ কমেছে।'

দাম যা বাড়ার তা আগেই বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'ক্রেতারা বাজারে এসে খুবই বিরক্ত। অনেকে ভ্যানে করে ঘরের সামনে গিয়ে সবজি বিক্রি করেন। তারা দামটা সুযোগ বুঝেই বেশি রাখেন।’

জানতে চাইলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজারদর পরিদর্শক আবু বক্কর বলেন, ‘চট্টগ্রাম মূলত আমদানি নির্ভর অঞ্চল। এখানে কোনো পণ্যের পর্যাপ্ত উৎপাদন হয় না। প্রায় সব পণ্য বাইরে থেকে আসে। আর বাইরে থেকে আসার চেইনটা (শৃঙ্খল) ঠিকঠাক আছে। এছাড়া প্রায় সব পণ্যের সরবরাহ ও মজুদ ঠিকঠাক আছে। তাই এখন বাজারে দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: