Cvoice24.com

ইন্টারনেট পেয়ে গতি বেড়েছে কাস্টমসে

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:৪২, ২৯ জুলাই ২০২৪
ইন্টারনেট পেয়ে গতি বেড়েছে কাস্টমসে

ইন্টারনেট চালু হওয়ার পর কর্মচঞ্চল হয়ে ওঠেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। চারদিন থমকে থাকার পর অ্যাসাইকোডা ওয়ার্ল্ড সার্ভার সচল হওয়ায় কর্মঘণ্টার বেশি অফিস করছেন কর্মকর্তারা। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় ৬০০’রও বেশি বিল অব এন্ট্রি ও এক্সপোর্ট দেওয়ার কারণে কাজের গতি বেড়েছে দেড়গুণ। পাশাপাশি পণ্যের পরীক্ষণ ও শুল্কায়নে গতি বেড়েছে। এতে সময় কমেছে আমদানি-রপ্তানিতে। সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। 

সোমবার (২৯ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ঘুরে দেখা যায়, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ আমদানি ও রপ্তানির সঙ্গে সম্পৃক্তদের আনোগোনা অন্যসময়ের তুলনায় বেড়েছে। উপ-কমিশনার ও যুগ্ম কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অফিস কক্ষেও স্টেক হোল্ডারদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তারাও প্রত্যেকের সমস্যা সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করছেন।

তবে ইন্টারনেটের গতি ধীরগতি হওয়ায় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে দাবি বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের।

মঙ্গলবার সকালেও এমন চিত্র দেখা গেছে। 

কাস্টম হাউসের এআইআর শাখার উপ-কমিশনার এ কে এম খায়রুল বাশার বলেন, ‘আমরা আগের চেয়ে বেশি সময় কাজ করছি। আর এটি যেহেতু পাবলিক সার্ভিস অফিস, সবাই আসছে। আমরাও আমাদের সাধ্যমতো সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।’

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ইন্টারনেট বন্ধ থাকার আগের পাঁচ দিনে দাখিল হয়েছে বিল অব এক্সপোর্ট ৩০ হাজার ৬৫৪টি এবং বিল অব এন্ট্রি ১২ হাজার ৬৫টি। আর চার দিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকার প্রথম দিনে কাস্টমস ম্যানুয়ালি কিছু আগের চালানে কাজ করলেও পরের তিনদিনসহ বিল অব এন্ট্রি ও এক্সপোর্টের কাজ বন্ধ থাকে। ২৫ জুলাই থেকে ইন্টারনেট সংযোগ পেয়ে বিল অব এক্সপোর্ট ২৯ হাজার ৫২৮টি এবং বিল অব এন্ট্রি ৭ হাজার ৩৫৬টি এসাইকোডা ওয়ার্ল্ড সার্ভারে দাখিল হয়েছে। অর্থাৎ গড়ে ১৭ ‘শ বিল অব এন্টি ও এক্সপোর্ট হলেও ইন্টারনেট পাওয়ার শেষ চার দিনে (২৫ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই) দাখিল হয়েছে ২৩’শরও বেশি।

এ বিষয়ে কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার নাজিউর রহমান মিয়া সিভয়েস২৪-কে বলেন, ‘ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়ার প্রথম দুই দিন চাপ খুব বেশি ছিলো। এখনও কিছুটা বেশি রয়েছে। তবে আগের তুলনায় চাপ অনেকটা কমে আসছে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

কাস্টস হাউসের কাজের গতি প্রসঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ও বন্দরের প্রত্যেকটি কর্মকর্তা-কর্মচারী আন্তরিক থাকায় আমাদের কাজের গতি অনেকটা বেড়েছে। কাস্টমসের কাজগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য তারাতো কাজ করছেই। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরের যতটুকু কনটেইনার হ্যান্ডেলিং ক্যাপাসিটি আছে, তারা ততটুকুই সার্পোট দিচ্ছেন। অন্য সময় দৈনিক চার হাজারের মতো কনটেইনার হ্যান্ডেলিং করলেও গত দুই দিন আগে তারা পাঁচ হাজারের মতো কনটেইনার হ্যান্ডেলিং করেছে। আমরা আশা করি অল্প কিছুদিনের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: