Cvoice24.com

নিম্নমুখী সবজি, চালে আরও অস্বস্তি

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৪৮, ২ আগস্ট ২০২৪
নিম্নমুখী সবজি, চালে আরও অস্বস্তি

দীর্ঘদিন ধরে চড়া দামে বিক্রি হতে থাকা বিভিন্ন সবজি গত কয়েকদিন স্থিতি থাকার পর এবার কমতে শুরু করেছে। একই সময়ে স্থির রয়েছে মাছ ও মাংসের বাজার। তবে আরও অস্থিতিশীল হয়ে ওঠছে চালের বাজার।‌ কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহের অজুহাতে প্রায় সব ধরনের চালে কেজিপ্রতি চার থেকে আট টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে ব্যবসায়িরা।

সরেজমিনে চট্টগ্রাম নগরের কর্নেলহাট, অলংকার ও পাহাড়তলী ও বহদ্দারহাট বাজার ঘুরে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে। 

পাহাড়তলী বাজারে রাশেদ নামে একজন ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সরবরাহের কারণে সংকটের কথা গত সপ্তাহেও বলেছে। দাম বেশি থাকায় আমি সেসময় চাল কিনিনি। এখন সব ধরনের পরিবহন স্বাভাবিক হলেও ব্যবসায়ীরা দাম না কমিয়ে উল্টো প্রতি কেজিকে আরও ৪-৬ টাকা বাড়িয়েছে। গত মাসে ২৫ কেজি বস্তার কাটারি চাল নিয়েছিলাম, যা কেজি প্রতি দাম পড়েছে ৭৮ টাকায়। আর এখন কাটারির দাম বেড়ে ৮৪-৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

এদিকে চালের দাম বৃদ্ধি নিয়ে চাক্তাই এস এম রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘বোরো মৌসুমের শুরুতে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে মে মাসে ধানের দাম মণপ্রতি ছিল ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা যা এখন ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। এছাড়া পরিবহনে কিছু বাড়তি খরচতো হচ্ছেই। সব স্বাভাবিক বললেও উত্তর বঙ্গ বা ঢাকা থেকে আমরা আগের দামে গাড়ি ভাড়া করতে পারছি না। পথে ঝুঁকি থাকলে তাদের ভাড়াও বেশি থাকে’

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। এছাড়া পাবদা, মাইট্টা, পোঁয়া, দাতিনা বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায় । গলদা চিংড়ি ও ইলিশ বিক্রি হয়েছে সাইজভেদে ৬০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা। এর মধ্যে ইলিশ মাছ মৌসুমের শুরুতে কিছুটা দাম বেশি থাকলেও কিছুদিন পর তা কমে আসবে বলে জানান বিক্রেতারা।

কর্নেলহাট বাজারে ইলিশ মাছ কিনতে আসা কার্তিক নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘এখন স্বাভাবিকভাবেই বেশি। আগামী দুই তিন সপ্তাহ পর দাম কমে আসবে। তবে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরার পড়লে তখন আমি ঘাট থেকেই মাছ কিনে আনি। ইলিশ আমার খুব পছন্দের। তাই এখন ইলিশ দেখে মাত্র লোভ সামলাতে পারিনি। তবে এটাও জানি, এখন ইলিশ নেওয়াটা কিছুটা বোকামি।'

এদিকে মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বাড়লেও  নিম্নমুখী রয়েছে সোনালি মুরগির দাম। ৩৪০ টাকা থেকে দাম কমে সোনালি মুরগি বিক্রি করা হয়েছে কেজিতে ২১৫ থেকে ২২০ টাকায়। আর কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বড় সাইজের ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ টাকা ও ছোট সাইজ ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরু ও খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ৯৫০ টাকা ও ১ হাজার ১০০ টাকা।

পাহাড়তলী বাজারের মুরগির দোকানি বাবুল বলেন, ‘সোনালির (মুরগি) এখন সাপ্লাই বেশি। তাই প্রতি কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা কমেছে। আর গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম একটু কমলেও আজ সামান্য বেড়েছে। তবে ব্রয়লারের সাপ্লাইও ভালোর দিকে। কয়েকদিনের মধ্যে দাম আবার কমতে পারে।’

সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁপে ৪০-৫৫ টাকায়; ঢেঁড়শ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন মানভেদে ৫০ থেকে ৮০ টাকা, ছোট আকারের লাউ প্রতি পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিংগা ৫০- ৬০ ও পটল ৩০ থেকে ৫০ টাকা এবং আলু ৫৮ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

সবজি বাজারের একজন ক্রেতা বলেন, ‘এখনতো মাছ-মাংসের দাম বাড়তি। সবজির দাম সে অনুপাতে কিছুটা কমেছে। তাই পটল, ঝিঙগা আর কাঁকরোল কিনলাম।’

এছাড়া পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং প্রতি ডজন ডিম কিনতে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তবে আদা ও রসুনের দাম স্থির রয়েছে। এই দুটি পণ্য বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: