Cvoice24.com

‘চেম্বারের পরিচালক প্রেসিডেন্ট সবই বানাতেন লতিফ’

সিভয়েস২৪ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৪৪, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
‘চেম্বারের পরিচালক প্রেসিডেন্ট সবই বানাতেন লতিফ’

 

সরকার পতনের পর পরিবারতন্ত্র ভাঙার দাবি উঠেছে শতবর্ষী ব্যবসায়ীক সংগঠন চিটাগং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডস্ট্রিজের। সংগঠনটির সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মোশমার্ক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম নুরুল হক এ দাবির সামনের সারির একজন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরই কেন পরিবারতন্ত্র ভাঙার দাবি উঠলো, পরিবারতন্ত্র থেকে বেরিয়ে আবারো কোন পরিবারতন্ত্র গড়ে উঠছে কিনা, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ভেঙে কেন একাধিক সংগঠন হলো ইত্যাদি বিষয় জানার চেষ্টা করেছে সিভয়েস২৪।

একান্ত সাক্ষাতকারে এসব প্রশ্নের বিষদ উত্তর দিয়েছেন সাবেক এ ব্যবসায়ী নেতা। সাক্ষাতকার নিয়েছেন সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক শুভ্রজিৎ বড়ুয়া।

► দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরপরই কেন চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিবারতন্ত্র ভাঙার দাবি তুললেন?

এসএম নুরুল হক : চিটাগং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের জন্ম হয় ১৯০৬ সালে। প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন মিস্টার ব্রাউন। সেই প্রাচীন চেম্বার পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিকতার সাথে সবাই প্রেসিডেন্ট ও পরিচালক হয়ে আসছেন। কিন্তু ২০০৯ সালে ওই এলাকার প্রাক্তন সাংসদ এম এ লতিফ সাহেব ওখানে প্রেসিডেন্ট হয়ে আসলেন। উনি আসার পর থেকে, এখানে তার কন্ট্রোল শুরু হয়। একজন ব্যক্তির উপর বোর্ড ও নমিনেইটেড পরিচালক হতেন। অর্থাৎ যাদেরকে উনি নির্বাচিত করতেন, তারাই চিটাগং চেম্বারে পরিচালক হতেন, প্রেসিডেন্ট হতেন বা প্রেসিডিয়ামে থাকতেন। সুতরাং এখানে একনায়কতন্ত্র যেটা, সেটাই ছিলো। চট্টগ্রামের বিভিন্ন সেক্টরের, অর্থাৎ চিটাগং চেম্বার, বিজিএমইএ ও অন্যান্য ট্রেড বডির সঙ্গে জড়িত ছিলো এমন ব্যবসায়ীরা, যারা আমাকে চিনেন তারা সবাই একত্রিত হয়ে আমাকে কিছু একটা করার পরামর্শ দিলেন। আমি ৫ আগস্ট থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম। ১৩ আগস্টের পর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, তৃণমূলের ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সংগঠনের ব্যবসায়ীদের নিয়ে আমার কিছু করা উচিত। এ কারণে আমি ১৮ আগস্ট সবাইকে নিয়ে চিটাগং চেম্বারের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে গেলাম। সেখানে সমাবেশ করলাম। সেখানে চিটাগং চেম্বারকে সংস্কার করাসহ দাবি দিলাম- ভোটহীন প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত বোর্ডকে পদত্যাগ করতে হবে। তারা পদত্যাগ করার পরই তৃণমূল ব্যবসায়ীরা সদস্যপদ পাবে। এরপর সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হলে সেখান থেকে নতুন নেতৃত্ব আসবে। 

► পরিবারতন্ত্রের আগের চেম্বার অব কমার্স আর বর্তমান চেম্বারের মধ্যে কী পার্থক্য বলে মনে করছেন?
এসএম নুরুল হক : আগে চেম্বার থেকে আমরা একটা পয়েন্ট দিলে তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অর্থবাজেটে আমাদের প্রস্তাবগুলো সংযোজন করতো। এখন কিন্তু সেরকম সংযোজন আসে না। 

► ভবিষ্যতে কেমন চট্টগ্রাম চেম্বার চান?

এসএম নুরুল হক : এখন আইটির (তথ্য প্রযুক্তি) যুগ। আমি যদি এনালগ হই, তাহলে কি চলবে? এখন পৃথিবী চলছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের যুগে। এখন আমাদের চিন্তা করতে হবে। এখন আমাদের চিন্তা করতে হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করতে হবে। চিটাগং চেম্বারের এতো বড় একটা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার খালি পড়ে আছে। ওখানের একটা ফ্লোরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স গবেষণাগার স্থাপন করা দরকার। ওখানে গবেষণা ও প্রয়োগের সুবিধা থাকবে। আমরা যদি নতুন নেতৃত্ব আনতে পারি তাহলে সবাইকে নিয়েই এমন কিছু করবো। আমরা ব্যবসায়ী সমাজ কিন্তু রাজনীতি করার জন্য না। 

 চেম্বারে স্বৈরতন্ত্র ও পরিবারতন্ত্রের যে আগ্রাসন হয়েছে, তার পুনারাবৃত্তি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে কী?

এসএম নুরুল হক : যদি আমাদের সুযোগ হয়, তাহলে পরিবারতন্ত্র ও রাজনীতি আমরা হতে দিবো না। আমরা সবাইকে সম্পৃক্ত করবো। পরিবারতন্ত্র বলতে, আমি যতদিন থাকবো, আমার পরিবারের কেউ পরিচালক হবে না। এরকম মনোবৃত্তি যাদের থাকবে, আমরা আমন্ত্রণ করবো তাদেরকে। 

► অন্য কারো বোর্ডে পরিবারতন্ত্র ফিরে আসলে?
এসএম নুরুল হক : এটা আসলে ম্যান টু ম্যান ভেরি করে। আপনার একটা চক্ষুলজ্জা থাকবে তো। 

► পরিবারতন্ত্র যেন ফিরে না আসে, এমন কোনো আইন গঠনতন্ত্রে সংযোজনের কোনো সুযোগ আছে কি?
এসএম নুরুল হক : আইনের জন্য বিভিন্ন ট্রেড বডি থেকে প্রস্তাব যেতে হবে মিনিস্ট্রি অব কমার্সে। কারণ আমরা যতগুলো ব্যবসায়ী সংগঠন আছে, সবগুলোই চলে মিনিস্ট্রি অব কমার্সের ট্রেড রেগুলেশন অনুযায়ী। তবে আমার সারাজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই, দুইবারের বেশি সময় কারো বোর্ডের পরিচালক হওয়া উচিত না। তাহলে নতুন ব্লাড সার্কুলেশন হবে। নতুন নেতৃত্ব আসবে। এটি নিয়ে যদি আমরা সুযোগ পাই টু টার্মস (দুইবার) করার জন্য, আমরা মিনিস্ট্রি অব কমার্সকে অনুরোধ করবো। 

►পরিবর্তিত চিটাগং চেম্বারের বোর্ড কেমন হতে পারে?

এসএম নুরুল হক : শুধু নতুন দিলে তারা চলতে পারবে না। আবার শুধু পুরাতন দিলেও হবে না। নতুন ও পুরাতনের সম্মিলনে অনেক কিছু করা যায়। আজকে সারা পৃথিবী চলছে, ইয়াং জেনারেশনের হাত ধরে। ব্যবসা বলেন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে বলেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের কথা বলেন; আমাকে বললে তো আমি পারবো না। আমাকে কম্পিউটার চালাতে বললে, আমি খুব স্লো। আবার এই জেনারেশনকে দিলে, তারা ভেরি ফাস্ট। সুতরাং তাদেরকে আনতে হবে। মেধাবী ইয়াং জেনারেশনকে কন্ট্রিবিউট করার জন্য আনবো। আর আমরা পুরানো যারা আছি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাদেরকে গাইড করার জন্য হয়তো যেতে পারি। কিন্তু আমরা পারমানেন্ট চিন্তা করবো নেক্সট জেনারেশনকে তুলে আনার। 

► চিটাগং চেম্বার ভেঙে আরও অন্য চেম্বার সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙনের এ সুর থেমে একতার সম্ভাবনা আছে কিনা?

এসএম নুরুল হক : চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা লিড দিতো সারা বাংলাদেশকে। সেই চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা কিন্তু চট্টগ্রাম চেম্বারের মধ্যেই মিটিং করতো। সবাই আমরা একসাথে ছিলাম। সেটা আমাদেরই দুর্ভাগ্য, চট্টগ্রাম চেম্বার সবাইকে একত্রিত রাখতে পারেনি। যদি পারতো, তাহলে মেট্রোপলিটন চেম্বারও হতো না। উইম্যান চেম্বারও হতো না। মেট্রোপলিটন চেম্বারে যারা লিডারশিপে আছে, তারা বিগ এন্ড জায়ান্ট। বাংলাদেশের ইকোনমির বিভিন্ন জায়গায় তারা কন্ট্রোল করেন, তারা কন্ট্রিবিউট করেন। চিটাগং চেম্বারে কোনো ডেলিগেশন আসলে তারা কাউন্টার পার্ট হিসেবে এ্যাক্ট করতো। তাদেরকেও আমরা ধরে রাখতে পারিনি। যেহেতু আমরা তাদেরকে যথাযথ সম্মান দিতে পারিনি, সেহেতু তারা বের হয়ে মেট্রোপলিটন চেম্বার করেছে। একটা হাতের পাঁচটি আঙুল একসাথে থাকলে যেমন শক্তিশালী থাকে, তেমনভাবে যদি হাত দুইটি আঙুল থাকে তাহলে কি তা শক্তিশালী থাকে? চিটাগং চেম্বার হয়ে গেছে এখন এক আঙুলের ইনস্টিটিউশন। 

► রাজনীতিতে ব্যবসায়ীরা যেমন ঢুকেছে, তেমনি ব্যবসায়িক সংগঠনেও রাজনীতি ঢুকেছে। এটিকে আপনি কিভাবে দেখেন?

এসএম নুরুল হক : ২০০৯ সালে লতিফ সাহেবের নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম চেম্বারের মেম্বারশিপ, ডাইরেক্টরশিপ নমিনেশন। যার ফলে এখন নতুন কেউ সদস্যপদ নিতে আগ্রহী নন। আমরা চাই পারিবারিক নিয়ন্ত্রণ না থাক, এটি অশোভনীয়। রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত থাক, তৃণমূলের ব্যবসায়ীদের সহজ পন্থায় মেম্বারশিপ হোক। এর পাশাপাশি ভবিষ্যতে একটা স্বচ্ছ গণতান্ত্রিকভাবে নতুন পুরাতন মিলে নির্বাচন মাধ্যমে বাংলাদেশের ইকোনমি গ্রো করুক।

► অনেকে আপনাদের নিয়ে আধিপত্য বিস্তারের সম্ভাবনার কথা বলছেন। এ নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?

এসএম নুরুল হক : এটার একটা সিগ্নিফিকেন্ট এক্সাম্পল আজকে একটা পত্রিকা দেখলাম। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটা আইন নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছে, যিনি রাজনৈতিক দলের সভাপতি হিসেবে থাকবেন তিনি সরকারে থাকতে পারবেন না। ভেরি ইন্টারেস্টিং এন্ড এপ্রিশিটেবল পদক্ষেপ। দেশ চালাবে রাজনীতিবিদরা, আইন প্রণেতা হবে রাজনীতিবিদরা। চেম্বার ফেডারেশন এবং ব্যবসায় ইন্সটিটিউশনগুলো আছে সেগুলো চালাবে ব্যবসায়ীরা। তাহলে একটা যোগসাজশ থাকবে। আমরা ১৮ তারিখ যেদিন চট্টগ্রাম চেম্বারে সমাবেশ করলাম, আমাদের সাথে সব ব্যবসায়ীরা ছিল। বিজিএমইর ভাইস প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে চেম্বারের কর্মচারীরা, ডাইরেক্টর থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকার ব্যবসার সাথে জড়িত সকলে ছিল। একটা পলিটিক্যাল লিডারও ছিল না। আমরা অনুরোধ করেছিলাম সবাইকে পলিটিক্যাল বক্তব্যও রাখবে না। কারো বিরুদ্ধে রাখবে না। কেবল আমাদের প্রস্তাব ছিল, সংস্কার চাই, আমরা তাদের পদত্যাগ চাই এবং নতুন করে কারো আধিপত্য চাই না। আধিপত্য চাইলে বর্তমান যেরকম আছে ওভাবে হয়ে গেল। তৃণমূল ভোটাররা ঠিক করবে কারা এখানে লিডারশীপে থাকবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি ১৮ বছর চেম্বারে যাইনি। আধিপত্য বিস্তার করতে গেলে লতিফ সাহেবের সাথে দ্বন্দ্ব হতো। এখানে রাজনৈতিক মুক্ত হোক সেটা আমি চাই।

► চিটাগং চেম্বারে ভুয়া ভোটার ও তৃণমূল ব্যবসায়ীরা সুযোগ না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগগুলো যাচাই ও সংশোধন করে নির্বাচিত চেম্বার বোর্ড করা কিভাবে সম্ভব?

এসএম নুরুল হক : আমি নিশ্চিত করে বলছি, এখানে ভুয়া ভোটার আছে। এখানে ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট ভুয়া দেখলে সেগুলোকে আমরা বাদ দিবো। যারা করেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। একটা থার্ড অডিট ফার্ম নিয়োগ করলে দেখবেন ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নিউট্রাল অডিট রিপোর্ট চলে আসবে। ওরাই নির্ধারণ করবে। 

►অন্তবর্তীকালীন সরকার থেকে আপনাদের প্রত্যাশা কী?

এসএম নুরুল হক : প্রতিটা পরিবর্তনের মধ্যে সময় দিতে হবে। আমরা যাদেরকে দেখছি- প্রধান উপদেষ্টা, হি ইজ নোন টু অল অভার দ্যা ওয়ার্ল্ড। একটা মানুষকে সত্য হিসেবে দেখেন তাঁর বক্তব্যটা আপনি এক রকম নেবেন, তাকে সাহায্য করতে চেষ্টা করবেন। আর আপনি কোন মানুষকে সত্য না ভাবেন, তাঁর কথাও আপনি কান দিয়ে ঢুকাবেন না। সুতরাং আমাদের প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে, নোবেল ওরিয়েন্টড ড. মো ইউনুস ওনাকে সারা পৃথিবী সমাদৃত করে। আমরা চাইবো ওনার নেতৃত্বে যারা এসছেন তাঁরা আরও সময় পেলে দেশ গঠনে সুন্দর ভাবে কনট্রিবিউট করবে। আমার বিশ্বাস, ব্যবসা বাণিজ্য আরও ভালো হবে। কারণ যে ধরনের মেধাকে উনি এক সাথে নিয়ে এসেছেন এবং সারা পৃথিবীতে যেভাবে উনি মুভ করছেন যেমন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে উনি নাইনটি নাইন মিলিয়ন ডলারের একটা সাপোর্ট চেয়েছেন। ওরা রাজি হয়েছে। অন্য সরকারের আমলে তাঁরা এপ্রোচ করার সুযোগ হয়নি, রাজিও হয়নি। তো এইটা আমাদের জন্য অনেক ভালো। সুতরাং ইউরোপীয় ইউনিয়ন না, আইএমএফ আছে, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক আছে ও সারা পৃথিবীর যেকোন দেশে ড. মো ইউনুস স্যার বলে বাংলাদেশকে এই অবস্থায় সাপোর্ট করতে হবে। নট বেগিং, আমাদেরকে সফট লোন দিতে হবে, আমাদেরকে ব্যবসা দিতে হবে, যেমন ধরেন গার্মেন্টস সেক্টরে ইউনুস সাহেবের গ্রহণযোগ্যতা আছে। এবং তিনি জানেন হাউ টু এপ্রোচ বিজনেস। সুতরাং আমরা বিজনেস কমিউনিটি বলি বিশেষত গার্মেন্টস, স্পোর্টস ওরিয়েন্টসসহ অন্যান্যকে বলি যে, আপনি সারা পৃথিবীকে একটা মেসেজ দেন আমাদের দেশ থেকে যেন বেশি করে বিভিন্ন পণ্য তাঁরা কিনে নিয়ে যায়। আমি আশা করি সবাই ওনার বক্তব্য সম্মানের সহিত গ্রহণ করবে। আমরা কাজের বিনিময়ে ইনকাম করতে চাই। বেগিং করে না।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: