`তিনিও নিরাপদে প্রস্থান চাচ্ছেন`
পদ হারাবেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল!
শুভ্রজিৎ বড়ুয়া, সিভয়েস২৪
আইনের মারপ্যাঁচে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) থেকে ছিটকে পড়ছেন মাহবুবুল হক। চট্টগ্রাম চেম্বারে প্রশাসক নিযুক্ত হওয়ায় আইন অনুযায়ী পদ ছাড়তে হতে পারে এ ব্যবসায়ী নেতাকে। এ নিয়ে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য অণুসংগঠন বিভাগের মহাপরিচালকের কক্ষে সভা ডাকা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাণিজ্য সংগঠন আইন- ২০২২ এর ১৭ ধারার ৪ উপধারায় বলা আছে, ‘কোনো বাণিজ্য সংগঠনে প্রশাসক নিযুক্ত থাকাকালীন উক্ত সংগঠনের কোনো সদস্য ফেডারেশনের নির্বাচনে প্রার্থী বা ভোটার হইতে পারিবেন না এবং ফেডারেশনের সাধারণ পরিষদে উক্ত সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব স্থগিত থাকিবে।’
চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে ব্যবসায়ীদের অভিভাবক সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি হয়েছিলেন মাহবুবুল হক। গত বছরের ২ আগস্ট ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদে একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। ১৪ আগস্ট ২৪তম সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন এ ব্যবসায়ী নেতা।
এর আগে তিনি টানা পাঁচ মেয়াদে ১০ বছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের।
এফবিসিসিআই সদস্য আবুল কাশেম হায়দার সিভয়েস২৪’কে বলেন, ‘আইনে যা আছে তা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিবে। তবে আমরা মন্ত্রণালয়কে এফবিসিসিআইর বোর্ডের পুরো বোর্ড বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগের অনুরোধ করেছি। এ নিয়ে আগামীকাল (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হবে।’
মাহবুবুল হক ‘সেইফ এক্সিট’ বা 'নিরাপদে প্রস্থান' চাচ্ছেন জানিয়ে আবুল কাশেম হায়দার বলেন, ‘চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী হিসেবে মাহবুব সাহেব আমার সঙ্গে গতকাল (৮ সেপ্টেম্বর) দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন। তিনি সেইফ এক্সিট চাচ্ছেন। তাই আমি উনাকে বলেছি, পুরো বোর্ডকে পদত্যাগ করাতে হবে। ব্যবসায়ী হিসেবে আমরা সবাই এক। তবে স্বৈরশাসকের দেওয়া পদে বহাল থাকলে উনার সঙ্গে আমাদের একাত্মতা করার সুযোগ থাকবে না।’’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘অবস্থা অনুকূলে না থাকায় ব্যবসায়ীরা এতোদিন কথা বলতে পারেননি। তবে পট পরিবর্তনে সবাই আইন মানার বিষয়ে সচেতন হয়েছেন। মাহবুবুল আলম যেহেতু চিটাগং চেম্বারের প্রতিনিধি হিসেবে অভিভাবক সংগঠনের বোর্ডে সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন, সেহেতু তিনি আইন মেনে পদত্যাগ করবেন।’
এ প্রসঙ্গে কথা বলতে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল হকের সঙ্গে সোমবার বিকেলে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন অণুবিভাগের মহাপরিচালক ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিনি ফোনে সাড়া দেননি।