Cvoice24.com

নগদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র!

সিভয়েস২৪ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:১৪, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নগদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র!

বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এ প্রশাসক ও সহায়ক কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিষয়টি নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন প্রতিষ্ঠানটির বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক। এটি বিকাশের একচেটিয়া ব্যবসা করার একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ মনে করছেন তিনি। আর এ এজেন্ডা বাস্তবায়নে খোদ বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের সম্পৃক্ততার অভিযোগও তুলেছেন তিনি।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড প্রোফাইল থেকে দেওয়া একটি পোস্টে মিশুক এ অভিযোগ তুলেন।

তিনি ‘নগদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের ষড়যন্ত্র!’- শিরোনামে একটি বিশদ লেখা পোস্ট করেন। যেখানে তিনি লিখেন, ‘নগদের বিরুদ্ধে নোংরাভাবে ষড়যন্ত্রে নেমেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। কারণ গভর্নর হওয়ার আগে তিনি বিকাশের পার্টনার ব্র্যাক ব্যাংকের বোর্ড চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই সূত্রে পদাধিকার বলে বিকাশের প্রধান উপদেষ্টাও ছিলেন তিনি। নগদ প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই বিকাশ নগ্নভাবে প্রতিষ্ঠানটির বিরোধিতা করে আসছে।’

তিনি আরও লিখেন, ‘শুধু নগদ নয়, এর আগে এই সেক্টরে কোন প্রতিষ্ঠানকেই তারা দাঁড়াতে দেয়নি। এমন সব কৌশল তারা নেয় যে, শুরু থেকেই কেউ দাঁড়াতেই পারে না। তাতে বিকাশের একচেটিয়া ব্যবসা বজায় থাকে। কিন্তু নগদকে সহজে বাগে আনতে পারেনি তারা। জনগনকে সুলভে সেবা দিয়ে নগদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতেই নগদ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর তথা বিকাশের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছে।’

তার কথাগুলোর যুক্তি উপস্থাপন করে তিনি লিখেন, ‘খেয়াল করে দেখবেন, কত ব্যাংকের বিরুদ্ধে কত অভিযোগ। হাজার হাজার, এমন কি লক্ষ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ আছে। তারপরেও সেসব ব্যাংকে তিনি প্রশাসক বসাননি। কিন্তু গভর্নর পদে বসার পর রাতারাতি তিনি নগদে প্রশাসক বসিয়েছেন। এরমানে সব ছক আগে থেকেই করা। যদিও, নগদের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের কোন অভিযোগ নেই। যা আছে তা বিকাশের মনগড়া অপপ্রচার।’

স্বচ্ছতার স্বার্থে ফরেনসিক তদন্তে আপত্তি না থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেন, ‘প্রথম আলোর আজকের খবর দেখে জানতে পারলাম, নগদে তারা ফরেনসিক তদন্ত করবেন। কত সংবাদ দেখি, অমুক অমুক ব্যাংক হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। সেখানে কোন তদন্ত নেই, প্রশাসক নেই। মনে হচ্ছে গভর্নর বিকাশের প্রতিনিধি হয়ে নগদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছেন। স্বচ্ছতার স্বার্থে ফরেনসিক তদন্তও আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু কোনো বিদেশি কোম্পানি দিয়ে তদন্ত করতে হবে। কারণ গভর্নরের উদ্দেশ্য অসৎ মনে হচ্ছে। একটি সফল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করলে ইতিহাস কাউকেই ক্ষমা করবে না। ’

গভর্নরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নগদ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে আমরা আদালতে যাবো। যদি সেখানেও সমাধান না হয় আমরা আন্তর্জাতিকভাবে আইনি পদক্ষেপে যাবো। কারণ নগদে বিদেশি ইনভেস্টমেন্ট আছে। বিদেশি এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আমরা সম্ভাবনা দেখিয়ে বাংলাদেশে ডেকে এনেছি। আমরা শুধু বলবো, একটি প্রতিষ্ঠানকে সব উজাড় করে দিতে গিয়ে গোটা দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলী দেবেন না। বিদেশে বাংলাদেশকে ছোট করবেন না। তাহলে জাতি আপনাদের কোন দিনই ক্ষমা করবে না।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: