নৌ-রুটে পণ্য পরিবহন : প্রথমদিনে ৫০ জাহাজ সিরিয়ালে
সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম থেকে দেশের ৩৪ নৌ-রুটে পণ্য পরিবহনে সিরিয়াল প্রথা চালু হয়েছে। প্রথমদিনে প্রায় ৫০টি জাহাজের সিরিয়াল দেওয়া হয়েছে। ভাড়া কমেছে আগের তুলনায় ৫ থেকে ৬ শতাংশ। সোমবার (৪ নভেম্বর) নগরের আগ্রাবাদের কাদেরী চেম্বারের বিডব্লিউসিসির সম্মেলন কক্ষে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো–অর্ডিনেশন সেল (বিডব্লিউসিসি) প্রতিনিধিরা জাহাজের নিরাপত্তার স্বার্থে বন্দর এলাকায় বাল্কহেড বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, আগের যে জাহাজ ভাড়া ছিলো, তার তুলনায় জাহাজ ভাড়া আনুপাতিক হারে ৫ থেকে ৬ শতাংশ কমানো হয়েছে। আশা করি, ভাড়াসহ সিরিয়াল পাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হবেন না জাহাজ মালিক ও আমদানিকারকরা।’
আগেও এ সিরিয়াল প্রথা ছিলো উল্লেখ করে কিছু ব্যবসায়ী মুক্ত বাণিজ্যের দোহাই দিয়ে জাহাজ ভাড়া কম পাওয়া কথা বলে চেইন থেকে সরে যান বলে জানান নৌ-পরিবহনের মহাপরিচালক মাকসুদ আলম। সেই ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের দাম কমাতে পেরেছেন কিনা প্রশ্ন রেখে এখনো যারা আপত্তি তুলছেন তারা মোট আমদানিকারকের কত শতাংশ জানতে চান তিনি।
বিডব্লিউটিসিসির নীতি নির্ধারণী কমিটির আহ্বায়ক সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘এখানে কোনো কারচুপি থাকবে না, কোনো স্বজনপ্রীতি থাকবে না। এক কথায় এখানে কোনো সিন্ডেকেট গড়ে ওঠার সুযোগ নাই। সারাদেশে আমাদের তিনটি সংগঠনের প্রায় তিন হাজার জাহাজ আছে। সিরিয়াল সিস্টেমের কারণে জাহাজগুলোর কোনোটি বসে থাকবে না। জাহাজ যদি নিয়মিত পরিচালনায় রাখতে পারে, তাহলে জাহাজমালিকরা লসে থাকবে না।’
সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যাদের জাহাজ নাই, তারা একসময় এ ব্যবসার নেতৃত্ব দিয়েছিল। তাদের কারণে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিল। তবে এখন সবাইকে এটি মাথায় রাখতে হবে, এটি নতুন বাংলাদেশ। এখানে কোনো সিন্ডিকেট করার চিন্তাও কেউ করবেন না। আর লাইটার জাহাজের যে তিনটি সংগঠন আছে, সেই তিনটি সংগঠনের প্রত্যেকটি থেকে তিনজন নিয়ে নয় সদস্যের একটি নীতি নির্ধারণী কমিটি করা হয়েছে। সুতরাং এখানে কোনো অনিয়ম হওয়ার সুযোগ নেই। এছাড়া সাংবাদিক বন্ধুরা যে কোনো সময় এসে আমাদের কাছ থেকে একাউন্টস সহ যে কোনো তথ্য নিতে পারবেন। এছাড়াও আমরা শতভাগ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে নিয়মিত নৌপরিবহন অধিদপ্তরে আমাদের রিপোর্ট পাঠাবো।’
বন্দরে বাল্কহেড বন্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এখন একমাত্র দাবি বন্দরে বাল্কহেড চলাচল বন্ধেল। আর নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের করা নীতিমালায় জাহাজে পরিবহনের বিষয়ে স্পষ্ট বলা আছে, বিডব্লিউটিসিসির ছাড়পত্র ব্যতীত কোনো জাহাজ মাদারভ্যাসেলের কাছে ভিড়তে পারবে না। যেহেতু মাদারভ্যাসেলের সিকিউরিটিও আমাদের নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যদি বিডব্লিউটিসিসি ছাড়পত্র নিয়ে কোনো জাহাজ মাদারভ্যাসেলের কাছে যায়, তাহলে সেটির জবাবদিহিতা থাকবে। সুতরাং নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও সহজ হবে।’