সপ্তাহের বাজার-সদাই
আলুর ইউটার্ন, নতুনের চেয়ে পুরনোর দাম বেশি!
সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

একটু কমে আবার বেড়ে গেছে আলু, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম। গেল সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজে বেড়েছে কেজিতে ১৫ থেকে ১৭। আর মানভেদে রসুনে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম। তাই দামও বাড়তি।
নগরের পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি, সেটা এখন ৬৩ থেকে ৬৫। আর রসুন ২১০। গেল সপ্তাহে রসুন ছিল ১৮০ থেকে ১৯০। আদা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। যা ছিল ১০০।
অন্যদিকে বেড়েছে পুরনো আলুর দাম। কয়েকদিন আগেও নতুন আলুর দাম পুরনোর চেয়ে ২০ টাকা বেশি ছিল। এখন সেই নতুন আলু মানভেদে ৪০ থেকে ৪৩। আর পুরনো আলু ৪৬ টাকা।
আলুর দাম 'ইউটার্ন' নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানান, হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলো নতুন আলু নিতে চায় না। এখন বাজারে সব নতুন আলু। পুরনো আলু কম; তবে চাহিদা বেশি। তাই দাম বেশি। আর নতুন আলুর যোগান বেশি হওয়ায় দামও কম।
পেঁয়াজ রসুনের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাড়তি দামে আড়ত থেকে কিনতে হচ্ছে। আড়তদাররা ভালো বলতে পারবেন কেন দাম বেড়েছে।
পাহাড়তলী বাজারের বেশ কয়েকজন আড়তদার বলছেন, পেঁয়াজের সরবরাহে টান পড়েছে। আমদানি কমে গেছে। তাই তিন-চার দিনের মধ্যে দাম বেড়েছে। অন্যান্য পণ্যও কম আছে বাজারে। তবে দেশি পেঁয়াজ বাজারে চলে আসলে দাম কমে যাবে!
পাহাড়তলী বাজার থেকে এককেজি পেঁয়াজ কেনেন সাইফুল আলম। তিনি সিভয়েস২৪’কে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার অফিস থেকে ফেরার পথে এককেজি পেঁয়াজ কিনেছিলাম ৪৮ টাকায়। আজ কিনলাম ৬৩। এক সপ্তাহে কেজিতে ১৫ টাকা বেড়েছে দাম। হুট করে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ তো বুঝলাম না!'
পাহাড়তলী বাজারের আড়তদার মো. ফারুক সওদাগর বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজের সংকট আছে, সরবরাহ কম।’
একই কথা বলেন আরেক আড়তদার মোহাম্মদ আবু তাহেরও।
এদিকে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, পাঙাস ১৫০ থেকে ১৬০, রুই ২৪০ থেকে ২৮০, কাতাল ২৬০ থেকে ৩২০, চাষের শিং ৫০০ থেকে ৫৫০, চাষের কৈ ১৮০ থেকে ২২০। এছাড়া পোয়া ৩০০ থেকে ৩৫০, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০, চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৯৫০ টাকায়।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে আরও বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। কাঁচামরিচ ও অন্যান্য শাকসবজির দাম কমই আছে। চাল বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামেই।
গত সপ্তাহের মতো বাজারে ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের দাম প্রতিডজন ১৩০ টাকা। তবে পাইকারি ১২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
অন্যদিকে কেজিতে ১৫ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহে ছিল ১৯৫ টাকা, এখন ২১০। আর সোনালি মুরগি ৩৪০-৩৬০ এবং দেশি মুরগি ৫৮০ টাকা। এছাড়া রাজহাঁস ৮০০ টাকা কেজি এবং দেশি হাঁস ৮০০ টাকা প্রতি পিস।
ওদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও ছাগলের মাংসের দাম। গরু ৭৩০-৯৫০ এবং খাসি ১০৫০-১১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজারে লাউ প্রতি পিস ২০ থেকে ৩০ টাকা। মূলা ১০ টাকা কেজি। ফুলকপি ২০। বাঁধাকপি ২৫, মিষ্টিকুমড়া ৪০ থেকে ৫০। শিম ৪০-৫০। টমেটো ৫০ থেকে ৬০, পেপে ৫০। বেগুন ৫০ থেকে ৬০। আর করলা ৮০। কাঁচামরিচ ৪০ ও ধনেপাতা ৬০ টাকা কেজি।
মুদির দোকানে প্রতিকেজি মশুর ডাল (মোটা) ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, মশুর (মাঝারি) ১৩৫-১৪০ এবং মশুর (ছোট) ১৩০ থেকে ১৪০। মুগ ডাল (মানভেদে) ১৫০ থেকে ১৮০ এবং ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩৫ টাকায়।
খোলা চিনি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি প্যাকেট চিনি ১২৫। লাল চিনি ১৪০ টাকা কেজি।
তবে চালের দাম বেড়ে খোলা বাজারে কাটারি ৮২ টাকা, জিরাশাইল ৭৬ থেকে ৭৮, নাজিরশাইল ৮৫ থেকে ৮৬, মিনিকেট আতপ ৬৮, মিনিকেট সেদ্ধ ৬২ থেকে ৬৬, স্বর্ণা ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।
অর্থ-বাণিজ্য সব খবর