প্যাসিফিকে দুদিন পর থামলো শ্রমিক বিক্ষোভ
সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

দেশের শীর্ষ পোষাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপে চলমান আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন শ্রমিকরা। কর্মী ছাঁটাই বন্ধ ও দুপুরের খাবার ব্যবস্থা চালু এবং ঊর্ধ্বতন ৬ কর্মকর্তাকে অব্যাহতির দাবিতে শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে বিক্ষোভ শুরু হয়। রবিবার দুপুরে মালিকপক্ষ তাদের দাবি মেনে নেয়ায় কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়।
জানা গেছে, নতুন বছরের ইনক্রিমেন্ট ও সরকারি নির্দেশনায় মহার্ঘ্য ভাতার হিসাব ঠিক করার পূর্বে প্রতিষ্ঠানটির ম্যাজেন্টমেন্ট ২০-২৫ বছর ধরে কাজ করা শ্রমিক ও কর্মচারীদের ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এ সিদ্ধান্তের খবর পেয়ে শ্রমিকরা তিন দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভের প্রথমদিনে প্যাসেফিক জিন্সের শ্রমিকরা প্রতিষ্ঠানটির ইউনিভার্সেল ও এনএইচটি কারখানায় এসে ভিড় করেন এবং সেখানে কিছু কর্মকর্তাদের গায়ে হাতও তুলেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। তবে পুরো ঘটনা বেপজা এলাকায় হওয়ায় এবং আন্দোলন চলাকালে ওই এলাকায় সকলের প্রবেশ ও নির্গমন সংরক্ষিত থাকায় বাইরে আন্দোলনের আঁচ ছড়ায়নি।
একইভাবে রবিবার (৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের আন্দোলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ঢাকা থেকে জরুরি ভিত্তিতে কারখানায় ছুটে আসেন প্যাসেফিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ এম তানভীর। তিনি এসে শ্রমিকদের দাবি মেনে আন্দোলন প্রত্যাহার করিয়ে নেন।
আন্দোলনরত শ্রমিক সোহেল বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের ৭টি কারখানা আছে। আর সেখানে প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক-কর্মকর্তা আছে। এর মধ্যে প্যাসেফিক জিন্সের অধিকাংশ শ্রমিক পুরাতন। মালিকপক্ষকে উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে ম্যানেজমেন্টের জিএম (মহাব্যবস্থাপক), এজিএম লেভেলের পাঁচজন ও একজন প্রোডাকশন ম্যানেজার পুরানো কর্মচারীদের বাদ দেওয়ার চক্রান্ত করেন।’
‘সেটা আমরা জেনে যাওয়ার পর ম্যানেজমেন্টের ওই ছয়জনকে বাদ দিয়ে হুটহাট কর্মী ছাঁটাই বন্ধের জন্য আন্দোলন করি। এর মধ্যে দুপুরে খাবার ব্যবস্থা আগেও ছিলো না। কিন্তু সব সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ইয়ংওয়ান যদি দিতে পারে, তাহলে প্যাসিফিক কেন পারবে না? আমাদের প্রতিষ্ঠানে আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করি বলেই এখানে ওয়ার্ক-অর্ডার আছে। নতুন করে আমেরিকার সিকে বায়ারের অর্ডার আসছে। আমাদের মালিক গতকাল (৪ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে থাকলে গতকালই ঠিকঠাক হয়ে যেত।’-বলেন শ্রমিক সোহেল।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে প্যাসিফিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ এম তানভীরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. জসীম বলেন, ‘গতকাল থেকে প্যাসেফিক জিন্স কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন। দাবি মেনে নিয়ে কাজে ফিরে যাওয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে শ্রমিকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।’
অর্থ-বাণিজ্য সব খবর