ছড়ানো ছিটানো কর অফিস আসছে একই ছাদে
নিউজ ডেস্ক, সিভয়েস২৪
আবাসিক ভবনে পরিচালিত চট্টগ্রাম আয়কর বিভাগের একটি কার্যালয়। ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রামে ছড়ানো ছিটানো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যালয়গুলো এক ছাদের নিচে আনছে সরকার। ৪৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন করভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পেয়েছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) হাতে নেওয়া এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে গণপূর্ত অধিদপ্তর। আগামী ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে ভবনটি নির্মাণ করা হবে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩৭ কোটি ৭ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রাথমিক প্রস্তাবে ১ হাজার ৫২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। পরবর্তীতে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার সিদ্ধান্তের আলোকে প্রকল্প প্রস্তাব পুনর্গঠন করে মোট ৪৩৭ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।
প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- ৪৬ হাজার ৭৪৩ দশমিক ৬৪ বর্গমিটার অনাবাসিক ভবন নির্মাণ; ২৮৮ দশমিক ৭৮ মিটার সীমান প্রাচীর ও গেট নির্মাণ; ২৬২ দশমিক ১২ মিটার পাম্প হাউজ ও পানি সরবরাহ লাইন স্থাপন; একটি নিকাশ কাঠামো (এসটিপি) নির্মাণ; ২টি নলকূপ স্থাপন; ৪ হাজার গ্যালন বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ; ৩৩৮ দশমিক ৩১ মিটার কম্পাউন্ড ড্রেন ও ৫৬৩ দশমিক ৮৫ বর্গমিটার এপ্রন নির্মাণ এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি সংগ্রহ।
প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়, বাংলাদেশের মোট রাজস্ব আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে আদায় হয়। যথাযথ পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নেওয়া হলে এ অঞ্চল থেকে বর্তমানের দ্বিগুণ পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম কর বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য বহুমুখী সুবিধা সম্বলিত কমপ্লেক্স নির্মাণের মাধ্যমে চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর আহরণ জোরদার করা হলে তা জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
প্রকল্পটির বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) সোলেমান খান বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পটির আওতায় চট্টগ্রাম কর বিভাগের জন্য বহুমুখী সুবিধা সম্বলিত কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের মাধ্যমে চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর আহরণ কার্যক্রম জোরদার করা হবে এবং ডাটা সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া প্রকল্পটি উন্নত, স্বাস্থ্যকর ও সুপরিসর দাপ্তরিক পরিবেশ তৈরি করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজের দক্ষতা ও কর্মস্পৃহা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।