Cvoice24.com

কাঁচা মরিচের ‘ঝাল’ নেই

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক
১২:১৬, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
কাঁচা মরিচের ‘ঝাল’ নেই

কয়েকমাস আগেও আকাশচুম্বি ছিল কাঁচা মরিচের দাম। হাজার ছাড়িয়ে ১২০০ তে ঠেকেছিল কেজি। তবে পাশের দেশ থেকে আমদানির পর কমতে থাকা সেই কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে পঞ্চাশেরও কম দামে। এক কথায় বলতে গেলে এই শীত মৌসুমে চট্টগ্রামের বাজারে কাঁচামরিচের ঝাল নেই। বর্তমানে পাইকারিতে ২২ থেকে ২৪, আর খুচরা বাজারে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এই পণ্যটি। 

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের খুচরা ও পাইকারি আড়ত ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা রকিবুল হাসান বলেন, ‘কাঁচা মরিচের দাম বেশ কয়েকদিন যাবতই কম পাচ্ছি। এখন যেহেতু সিজন তাই কমে কিনতে পরছি। দাম কম থাকায় পরিমাণে বেশি কেনা হচ্ছে। নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিচ্ছি।’

খুচরা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নূর হোসেন বলেন, ‘কাঁচামরিচ তো কম দামেই বিক্রি করছি। সরবরাহ ভালো আছে। পাইকারি কিনে আনছি ২৪ টাকা কেজি। বিক্রি করতেছি ৩০ টাকা কেজি। এখন বাজার এরকমই যাচ্ছে মরিচের। বেচাকেনা আছে মোটামুটি।’

জানা গেছে, চট্টগ্রামের বাজারে এখন অধিকাংশ কাঁচামরিচ আসছে পার্শ্ববর্তী জেলা কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা থেকে। জামালপুর জেলা থেকেও আসছে। তবে সেটা শেষ পর্যায়ে, এখন চকরিয়ার মরিচের আধিপত্য চট্টগ্রামের বাজারে।

মেসার্স নিউ যমুনা ট্রেডার্স নামক কাঁচামরিচের পাইকারি আড়তে কথা হয় মোহাম্মদ হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, ‘আজকে পাইকারি মরিচ বিক্রি হয়েছে ২২ টাকা পঞ্চাশ পয়সা করে। এখন তেমন লাভ নেই। মোটামুটি ব্যবসা টিকে আছে। ফুল সিজন চলতেছে এখন তাই দাম কম। উৎপাদন বেশি তবে দাম নাই মরিচের।’

মেসার্স সানজিদা ট্রেডার্সে কথা হয় চকরিয়ার কাঁচামরিচের ব্যাপারি আমিনুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, চকরিয়ার মরিচের সিজন শুরু হয়েছে মাত্র। এই মরিচ আগামী মে মাস পর্যন্ত থাকবে। দাম নিয়ে এই মরিচ ব্যাপারি বলেন, ‘দুইদিন যাবত মরিচ ক্ষেত থেকে কিনতেছি ২১ টাকা কেজি। এরমধ্যে ১৫ থেকে ১৯ টাকায়ও কেনাবেচা হয়েছে। শহরে এনে বিক্রি করতেছি ২২ টাকা কেজি। লস হচ্ছে এখন। কেজি প্রতি ৫ টাকা লস দিয়ে বিক্রি করছি। এক গাড়ি মরিচ চকরিয়া থেকে রিয়াজউদ্দিন বাজার আনতে সাত হাজার টাকা ভাড়া। তারপর বাজারে এনে দাম পাই না।’

কৃষকেরও মরিচ চাষে লস হচ্ছে বলে জানান তিনি। আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এক কেজি মরিচ কৃষক বিক্রি করে ১৫ থেকে ১৯/২০ টাকা। তার এক কেজি মরিচ তোলাতেই খরচ ৫/৬ টাকা। চাষের খরচ,রোপণ, পরিচর্যা খরচ হিসাব করলে কৃষকেরও লাভ নাই। লস হচ্ছে, তোলার টাকাও হয় না। তবে দাম না পেলেও মরিচ ছিড়তে হয়, না হয় বাড়ে না।’

রিয়াজউদ্দিন বাজারে কাঁচামরিচ ব্যবসায়ীদের সংগঠন সেভেন স্টার সমিতির সভাপতি মো. শাহজাহান সওদাগর বলেন, ‘এখন কাঁচা মরিচের প্রচুর সরবরাহ। জামালপুর ও চকরিয়ার মরিচ বাজারে আসছে। দামও মানুষের নাগালের মধ্যে। আগামী রমজান মাসেও কাঁচা মরিচের দাম বাড়ার সম্ভবনা নেই বলে জানান এই ব্যবসায়ী।’