Cvoice24.com

চমেকে সংঘর্ষ : ৩১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৪৩, ২৩ নভেম্বর ২০২১
চমেকে সংঘর্ষ : ৩১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা চলা একাডেমিক কাউন্সিল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

চমেক একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি ও অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শাহেনা আক্তার সিভয়েসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বহিষ্কৃতদের মধ্যে ৮ জনকে দুই বছরের জন্য, দুই জনকে দেড় বছরের জন্য এবং ২১ জনকে এক বছরের জন্য সকল শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের ২৩ জন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। ৮ জন সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। যদিও নওফেল চমেকে তার কোন অনুসারী নেই বলে দাবি করে আসছেন। 

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২৭ তারিখ থেকে কলেজ ফের চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে পূর্বের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কলেজে সকল ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছাত্র হোস্টেলের সকল সিট বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তীতে ছাত্রী হোস্টেল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। 

গত ২৯ অক্টোবর রাত ও ৩০ অক্টোবর চমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হল বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। 

এর আগে, সোমবার (২১ নভেম্বর) সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রধান চমেকের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মতিউর রহমান খান চমেকের অধ্যক্ষের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। এ সময় তদন্ত দলের পাঁচ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে— এইচএম আসহাব উদ্দিন (৬২ তম ব্যাচ), অভিজিৎ দাশ (৬০ তম ব্যাচ), সাদ মোহাম্মদ গালিব (৬২ তম ব্যাচ), সাকিবুল ইসলাম হৃদয় (৩০ তম ব্যাচ), সৌরভ ব্যাপারি (৬২ তম ব্যাচ), জাহেদুল ইসলাম জিশান (৩১ তম ব্যাচ) ইমতিয়াজ আলম (৩০ তম ব্যাচ) ও মোহাম্মদ সাইফ উল্লাহকে (৬১ তম ব্যাচ)।

দেড় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে— রিয়াজুল ইসলাম জয় (৫৯ তম ব্যাচ) ও অভিজিৎ দাস (৬০ তম ব্যাচ)। 

এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে— সাজু দাশ (৬২ তম ব্যাচ), রকিব উদ্দিন আহমেদ সিয়াম (৬২ তম ব্যাচ), জাকির হোসেন সায়েম (৬২ তম ব্যাচ), জুলকাফল মোহাম্মদ শোয়েব (৬২ তম ব্যাচ), মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল (৬২ তম ব্যাচ), চমন দাশ অনয় (৬২ তম ব্যাচ), ফারহান রহমান ফাহিম (৬২ তম ব্যাচ), মাহিন আহম্মেদ (৬২ তম ব্যাচ), শেখ ইমাম হাসান (৬২ তম ব্যাচ), সৌরভ দেবনাথ (৬২ তম ব্যাচ),  মো. মঈনুল হোসেন (৩১ তম ব্যাচ), মোহাম্মদ আরফাত ইসলাম (৬২ তম ব্যাচ), মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ হাবিব (৩০ তম ব্যাচ), মোহাম্মদ আনিস (৩১ তম ব্যাচ), মো. এহেসানুল করিম রুমন (৩১ তম ব্যাচ), মো. মাহতাব উদ্দিন রাফি (৩১ তম ব্যাচ), মো. শামীম (৩১ তম ব্যাচ), মো. সাব্বির (৬০ তম ব্যাচ), মইন ভূঁইয়া (৩১ তম ব্যাচ), তৌফিকুর রহমান ইয়ন (৫৮ তম ব্যাচ) ও আল আমিন ইসলাম (৫৮ তম ব্যাচ)।

একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় জানানো হয়, অভিযুক্ত তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও সংগত কারণে মাথার হাড় ভেঙে যাওয়া মাহাদি আকিব, রক্তিম দে ও এনামুল হোসেন ওরফে সীমান্ত এর ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়