Cvoice24.com

পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত  

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৫৬, ২৬ নভেম্বর ২০২২
পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত  

চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৬ নভেম্বর) নগরের টাইগারপাস এলাকার নেভি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পানি  সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ডিন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড, নিল আফরোজা বেগম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান তাহমিনা খাতুন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভাসিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড নূরুল আনোয়ার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আসমা ইয়াসমিন এবং ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক রাইসুল ইসমাইল।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে কাজ চলছে। আমাদের প্রতিটা তরুণ যাতে শোভন পেশার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে পারে এজন্য চলছে বিপুল কর্মযজ্ঞ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হচ্ছে শিক্ষার যাত্রার সূচনা। জ্ঞানের জন্য, স্বীকৃতির জন্য, প্রজ্ঞার জন্য ক্ষুধার্ত হওয়া আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ক্ষুধার্ত হতে থাকুন, তৃপ্ত হবেন না। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উপায় খোঁজা চালিয়ে যান এবং সেখানেই আপনি আরও কিছু অর্জন করতে পারবেন। ক্রমাগত নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন জীবনে চলতে কি নতুন দক্ষতা এবং দক্ষতার প্রয়োজন হবে। আপনার শিক্ষার সবচেয়ে বড় সুবিধা শুধুমাত্র আপনি যা শিখেছেন তা নয়, কীভাবে শিখতে হয় তা জানার মধ্যেও রয়েছে। 

সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, বাংলাদেশ সরকার উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। তাই, আমি আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে পাঠদানের মাধ্যমে একটি প্রগতিশীল সমাজ গড়ে তোলার জন্য পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে ধন্যবাদ জানাই। আজকে সমাবর্তনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা একটি পরিবর্তিত বাংলাদেশে তাদের কর্মজীবন শুরু করতে যাচ্ছে। আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন দেশে হয়েছে তার সবচেয়ে বড় সুফল ভোগ করতে যাচ্ছেন আপনারা। বঙ্গবন্ধুকন্যার ডিজিটাল বাংলাদেশ আপনাদের নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে।

এবারের সমাবর্তনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা ৫৬৪৯ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়। এছাড়া ১৪ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল ও ১৩ জন শিক্ষার্থীকে ফাউন্ডার গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।

সিভয়েস/ডিসি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়