Cvoice24.com

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড
ফল জালিয়াতির তদন্ত প্রতিবেদনও ‘ফাইলবন্দি’

শারমিন রিমা, সিভয়েস২৪

প্রকাশিত: ১৫:০১, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফল জালিয়াতির তদন্ত প্রতিবেদনও ‘ফাইলবন্দি’

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথ।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে ফলাফল জালিয়াতির তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েছে সরকার পতনের আগে। কিন্তু পতনের পর পরিবর্তনের দেড়মাসেও তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। এমনকি নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা! ফাইলবন্দি পড়ে আছে সেই প্রতিবেদন।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক ওই কর্তার বিরুদ্ধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে মন্ত্রণালয়ের হাত ঘুরে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় নিজের ছেলেকে জিপিএ-৫ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগের তদন্তভার যায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কাছে। গত ৪ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি। বর্তমানে নারায়ণ চন্দ্র নাথ সংস্থাটির চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

কমিটি গঠন-তদন্তে গড়িমসি, প্রতিবেদন নিয়েও লুকোচুরি

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থাকাকালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় নিজের ছেলেকে জিপিএ ৫ পাইয়ে দেওয়ার। অভিযোগ পেয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে চলতি বছরের ১ এপ্রিল মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তপূর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনার ১৬ দিন পর তদন্ত কমিটি গঠন করে মাউশি। আবার তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও নানা অজুহাতে দুই মাস পরে গত ৩ জুন তদন্ত কাজ শুরু করে কমিটির তিন সদস্য। তদন্ত চলাকালীন সময়ে বোর্ডের চার তলায় উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দিদারুল আলমের কক্ষে তিনটি ট্রাংকে রক্ষিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা-২০২৩ এর শিক্ষার্থীদের লক্ষাধিক নম্বরফর্দের দুটি নেই। তবে এ ঘটনাটি গত ১৯ মে’র হলেও জানাজানি হয় জিডির পর। এ ঘটনায় সেসময় (৪ জুন) পাঁচলাইশ থানায় একটি জিডি করা হয়।

এদিকে, তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে মুখ খুলছেন না কমিটির কেউ। নানা অজুহাতে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। তবে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, তদন্তে অন্তত পাঁচ বিষয়ের ফলাফল গড়মিলের প্রমাণ পেয়েছে কমিটি।

এ বিষয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর কথা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আইন ও শৃঙ্খলা বিষয়ক অধিশাখা) মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাসের সঙ্গে। সেসময় তিনি সিভয়েস২৪’কে বলেন, ‘এ তদন্ত প্রতিবেদনটা এখনো খুলি নাই আমরা। কালকে (৫ সেপ্টেম্বর) খোলা হবে। আমাদের শাখায় গতকাল (৩ সেপ্টেম্বর) এসেছে। এর বেশি আর কিছু বলতে পারবো না।’

পরবর্তীতে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নানাসময়ে এ কর্মকর্তার সঙ্গে বারংবার যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। 

একই বিষয়ে ৫ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক অনুবিভাগ-১) মো. হাসান মারুফের কাছে জানতে চাইলে তিনি মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে মুঠোফোনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর নানা সময়ে বেশ কয়েকবার ফোন করেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি। 

পরবর্তীতে ১০ সেপ্টেম্বর পুনরায় যোগাযোগ করলে তিনি সিভয়েস২৪’কে বলেন, ‘তদন্তাধীন বিষয়ে কোন কথা বলা যাবে না। আমাদের মিনিস্ট্রির একজন পিআরও আছেন উনার সঙ্গে কথা বলেন।’

একই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) খালেদা আক্তার। এছাড়া তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশান উইংয়ের পরিচালক অধ্যাপক মো. আমির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনিও ব্যস্ত থাকার অজুহাত দেন। 

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম সিভয়েস২৪’কে বলেন, ‘আমি শুধু জানি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আর কিছুই জানা নেই এবং জানি না। এ বিষয়ে মন্তব্য করা আমার এখতিয়ারের বাইরে।’

ছেলের ফল নিয়ে তুঘলকিকাণ্ড

২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম ক্যান্টম্যান্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে অংশ নেন তাঁর ছেলে। ২৬ নভেম্বর ফলাফল ঘোষণার পর ছেলের জিপিএ ৫ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠে। সেসময় তিনি বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ছিলেন। অভিযোগ উঠে, প্রভাব খাটিয়ে জিপিএ-৫ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে ঘটেছে তুঘলকিকাণ্ড। গড়িয়েছে থানা থেকে আদালত পর্যন্ত। ছেলের খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদনের জের ধরে প্রথম থানায় যান তাঁর স্ত্রী বনশ্রী দাস। নারায়ন চন্দ্র নাথ বা তার পরিবারের কেউ এমন আবেদন করেননি— এমন অভিযোগ করে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। একইসঙ্গে এ পুনঃনিরীক্ষণ আমলে না নেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদনের গুঞ্জন উঠে। যদিও তৎকালীন বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুস্তফা কামরুল আখতার বিষয়টি অস্বীকার করেন। 

ঘটনা তদন্তের দাবি তুলে গণমাধ্যমে বক্তব্য রাখায় চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব অধ্যাপক আব্দুল আলীম ও অধ্যাপক ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। মামলাটি পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তদন্ত করছে। পরে বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পরও কমিটি গঠন ও তদন্তে গড়িমসি করে সংশ্লিষ্টরা।

৩ জুন বোর্ডে আসার কথা জানিয়ে গত ২৮ মে বোর্ড সচিব অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথকে চিঠি পাঠায় তদন্ত কমিটি। ৩ জুন তদন্ত কমিটির সঙ্গে সাক্ষাত শেষে ৪ জুন তদন্ত স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত নারায়ণ চন্দ্র নাথ। আদালত ৮ সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেন। একইদিনে তদন্ত কমিটির নির্দেশনায় ট্রাংক ভেঙে দুই শিক্ষার্থীর মার্কশিট গায়েবে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরবর্তী সময়ে মাউশি এবং বোর্ডের আপিলে ওই নারায়ন চন্দ্র নাথের তদন্ত স্থগিত চেয়ে রিটের আদেশ বাতিল করা হয়।

বোর্ডজুড়ে নারায়ণের যত ‘অনিয়ম’

২০২০ সালে অনুষ্ঠিত জেএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের নয় মাস পর নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করে ৩৪ শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ দেখানো হয়। যদিও সেসময় করোনার কারণে জেএসসিতে অটোপাস দেয় সরকার। পরীক্ষা বিধি লঙ্ঘন করে এসকল শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যদিও ‘অজানা কারণে’ এ নিয়ে তদন্তের মুখে পড়তে হয়নি এ কর্মকর্তাকে।

২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ২০২১ সালের এইচএসসির ফলাফল প্রকাশিত হয়। সেসময় ফলাফলে অসংগতি ও জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগ তদন্তে কমিটিও করেছিল সরকার। সেসময় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়— চট্টগ্রাম বোর্ডের সব শিক্ষার্থী ওই বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায় ফলাফল পেলেও বিকালে অনেকের ফলাফলে ভিন্নতা দেখা যায়। এরমধ্যে তখন জালিয়াতি করে ফল পরিবর্তন করা হয় কিছু শিক্ষার্থীর। একজন শিক্ষার্থীকে পদার্থবিজ্ঞানে ২০০ নম্বরের মধ্যে দেওয়া হয় ২১৮ নম্বর। এছাড়াও তিনজন শিক্ষার্থী পরীক্ষার মোট নম্বরের চেয়ে বেশি নম্বর পান। এ ঘটনায় সেসময় বোর্ডের ৯৭ হাজার ৪৩৬ জন পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়ে যায়। 

তখন অভিযোগ ছিল— অভিযুক্ত সিস্টেম অ্যানালিস্টের সন্তান এসএসসি পরীক্ষার্থী হওয়ার পরও বিধি ভঙ্গ করে বিজি প্রেসে গমনসহ গোপনীয় কাজ করেছিলেন সিস্টেম অ্যানালিস্ট কিবরিয়া মাসুদ খান। পরে ওই ঘটনায় মন্ত্রণালয় থেকে নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে কলেজ অনুবিভাগকে বিভাগীয় মামলা করার দায়িত্ব দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা আর আলোর মুখ দেখেনি।

এরপর একই পরীক্ষার (২০২১ সালের এইচএসসি) অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ভুলভাবে ছাপিয়ে বোর্ডের বিশাল অংকের আর্থিক ক্ষতির দায়ভারও পড়ে নারায়ন চন্দ্র নাথের উপর। পরে গঠিত তদন্ত কমিটিতে তাঁর (নারায়ন চন্দ্র নাথ) অপরাধ প্রমাণিত হলেও শাস্তি ভোগ না করে উল্টো বোর্ড সচিব পদে দেওয়া হয় পদোন্নতি। যদিও সেই জালিয়াতির ঘটনায় শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্টের শাস্তি হয়েছিলো। 

শেষে গতবছর (২০২৩) নিজ ছেলের ফল জালিয়াতির ঘটনায় ফেঁসে যান তিনি। এমনকি ১৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়ে জিপিএ ফাইভ পাওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে যার মধ্যে সর্বশেষ ১৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়ে জিপিএ ফাইভ পাওয়ার বিষয়টি তদন্তাধীন। বাকি সবগুলো অভিযোগ প্রমাণিত ছিল নারায়ণের বিরুদ্ধে

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেল কানেকশনে পার!

২০২১ সালের ফল কেলেঙ্কারির অভিযোগের তদন্তের ভিত্তিতে বিভাগীয় মামলা আলোর মুখ না দেখলেও নারায়ণ চন্দ্র নাথের অভিযুক্ত হওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে তার ২০২১ সালের বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে (এসিআর)। ওই বছর তার এসিআরে বিরূপ মন্তব্য করেন প্রতিস্বাক্ষরকারী কর্মকর্তা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের (মাধ্যমিক-১) অতিরিক্ত সচিব ডা. সৈয়দ ইমামুল হোসেন।

নারায়ন চন্দ্র নাথের ২০২১ সালের বার্ষিক অনুবেদনে তিনি মন্তব্য করেন, ‘চিটাগং বোর্ডের ফলাফল কেলেঙ্কারির জন্য (একরাত্রে ২ বার ফলপ্রকাশ) প্রাথমিকভাবে তাকে দায়বদ্ধ করে বিভাগীয় মামলা চালুর জন্য কলেজ অনুবিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ট্রান্সক্রিপ্ট ছাপানোতে ৪৮১৪৪৪ টাকার বোর্ডের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ রহিয়াছে, যাহা মন্ত্রণালয়ের নথিতে সংরক্ষিত আছে। সে কারণে অনুবেদনকারী কর্মকর্তার সহিত একমত হওয়া গেল না।’ 

এদিকে, দুই বছর আগে তদন্তে দায়ী হিসেবে চিহ্নিত হওয়া এবং এসিআরে বিরূপ মন্তব্যের পরও নারায়ণ চন্দ্র নাথের পদোন্নতি কীভাবে হলো তা নিয়েও সমালোচনা উঠে বোর্ডে। প্রশ্ন উঠেছে— একজন বোর্ড কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বারংবার ফল কেলেঙ্কারির মতো গুরুতর অভিযোগ উঠা এবং সেইসকল অভিযোগের প্রমাণ থাকার পরেও তিনি ‘পার’ পেতেন কীভাবে। 

বোর্ডজুড়ে গুঞ্জন ছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর আর্শিবাদপুষ্ট ছিলেন নারায়ণ চন্দ্র নাথ। এছাড়া চট্টগ্রাম ভিত্তিক একটি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গেও সখ্যতা ছিল এ বোর্ড কর্মকর্তার। তবে এব বিষয়ের সঠিক কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু বারংবার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও শাস্তির পরিবর্তে উল্টো পদোন্নতি পাওয়ায় সেই গুঞ্জনকে ‘সত্যি’ হিসেবে মানেন বোর্ড কর্মকর্তারা। 

যা বলছেন শিক্ষাবিদ

শিক্ষাবিদ ড. আনোয়ারা আলম সিভয়েস২৪’কে বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের টেনে হিঁচড়ে নামানোর দৃশ্য দেখা গেছে। এর মধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তাদেরও দেখা গেছে, যাদের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতি বা কোনো ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। অথচ পত্র পত্রিকা মারফতে জানতে পারলাম চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। স্পষ্ট প্রমাণ থাকার পরেও কীভাবে তিনি বহাল রয়েছেন তা সত্যিই দু:খজনক। একজন শিক্ষক হিসেবে এই বিষয়গুলো আমাকে ব্যথিত করে।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: