যাত্রামোহন স্কুলের ‘বাংলা স্যার’ : বিদায়বেলায় কাঁদলেন, কাঁদালেন
সিভয়েস২৪ ডেস্ক
দীর্ঘ ৩২ বছর চট্টগ্রামের পটিয়া মোজাফরাবাদ নুরুজ্জামান যাত্রামোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন কাজী মোহাম্মদ ফরহাদ আজাদ। ৩১ অক্টোবর ছিল তার শেষ কর্মদিবস। বাংলা বিষয়ে পড়াতেন তিনি। শিক্ষার্থীদের কাছে তার পরিচয় ছিল 'বাংলা স্যার' হিসেবে।
কাজী মোহাম্মদ ফরহাদ আজাদকে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ, শিক্ষক কর্মচারী এবং বর্তমান-প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানে প্রিয় শিক্ষককে অশ্রুসজল নয়নে বিদায় দেন সবাই। এ সময় সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন পরিবেশ।
শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে তার হাতে তুলে দেয়া হয় ক্রেস্ট। প্রিয় শিক্ষকের স্মৃতিচারণ করেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষাগুরুকে পুষ্পমাল্য পরিয়ে ফুল দিয়ে সাজানো গাড়িতে বোয়ালখালীর বাড়িতে পৌঁছে দেন তার শিষ্য ও শিক্ষার্থীরা।
বিদায়ী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্লাবন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘যেকোনো বিদায় বেদনার, কষ্টের। কাজী মোহাম্মদ ফরহাদ আজাদের মতো শিক্ষক এদেশের সম্পদ। তারাই সোনার মানুষ গড়ার কারিগর।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘আজ সত্যিই আমাদের জন্য বেদনার দিন, মন খারাপের দিন। ফরহাদ আজাদকে আর কোনোদিন ক্লাসে পাব না; ভাবতেই খারাপ লাগছে। সহকর্মী হিসেবে তার কাছে অনেক কিছু শিখেছি, অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। তার ন্যায়পরায়নতা, কর্মদক্ষতা, সততা ও সময়ানুবর্তিতা আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।’
বিদায়ী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রধান শিক্ষক অসীম চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক রহিম বেগম, মাওলানা আলী আহামদ কাসেমী, সব্যসাচী বিশ্বাস, মিতালি রানী সুশীল, ইলা দাশ গুপ্তা, দীপক বড়ুয়া, চম্পা বৈদ্য, ধীমান চৌধুরী, জুহি সেন গুপ্তা, গিয়াস উদ্দিন, আলমগীর, বোরহান, পলাশ দাশ, রাম চৌধুরী, দেবাশীষ দে, ইকবাল হোসেন, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে আজগর, খায়রুল বশর, রবিউল হোসেন চৌধুরী, মুকতুম উল হক, আরিফ, সাব্বির প্রমুখ।