পরীক্ষা বয়কটের হুঁশিয়ারি পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক
ছাত্রাবাসের আসন বরাদ্দ নিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। আর আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হলে পরীক্ষা বয়কটের পাশাপাশি কঠোর কর্মসূচিরও হুঁশিয়ারি দেন।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামে প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে এ হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘পলিটিকনিকে হামলা কেন-প্রশাসন জবাব চাই’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা পলিটেকনিকে হবে না’, ‘জেগেছে রে জেগেছে ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘জুলাই-আগস্টের হাতিয়ার; গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘দাবি মোদের একটাই-হোস্টেল খোলা চাই’ এবং ‘হোস্টেলের তালা-খুলে দাও, দিতে হবে’ সহ নানা ধরনের স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনীতি চাই না। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠুভাবে হলে উঠতে চাই। আমাদের মেধা ও দূরত্বের ভিত্তিতে আমাদের হলে সিট দেওয়া হয়েছে। তারপরেও আমাদের ওপর হামলা কেন হলো? তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক্যালের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে পরীক্ষা বয়কটের হুঁশিয়ারিসহ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।’
এর আগে, রবিবার (২৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় দুটি আলাদা সংগঠন। এদিন সকালে দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কর্মসূচির ডাক দেয় কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ। আবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর জামায়াত-শিবিরের হামলার প্রতিবাদে একই কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ নামের আরেক সংগঠন। তারা এদিন দুপুরে নগরের ষোলোশহর রেলওয়ে স্টেশনে ‘বৈষম্যবিরোধী কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে ছাত্রাবাসের আসন বরাদ্দ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবার বিক্ষোভ করে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ছাত্রাবাসে আসন বরাদ্দের তালিকা প্রকাশ করে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ। পরের দিন বৃহস্পতিবার ছাত্রাবাসের আসন বরাদ্দের জেরে শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চারজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষ দাবি করে— ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ঢুকে তাঁদের ওপর হামলা করেন। আর ছাত্রদল দাবি করে— ছাত্রশিবিরের কর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে।