Cvoice24.com

‘ইন্ধনদাতা বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমান’
হাজেরা তজু কলেজে ৮ শিক্ষক বরখাস্তের প্রতিবাদ, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:২৯, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
হাজেরা তজু কলেজে ৮ শিক্ষক বরখাস্তের প্রতিবাদ, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী চট্টগ্রাম নগরের হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজের ৮ শিক্ষককে বরখাস্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে পুরান চান্দগাঁও থানার কলেজের সামনে এই কর্মসূচি পালন করে তারা। এ সময় ঘটনার পেছনে ইন্ধনদাতা হিসেবে সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমানকে দায়ী করছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র ও শিক্ষকদের হয়রানি এবং ৮ জন শিক্ষককে অন্যায়ভাবে বরখাস্তের প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, ছাত্রদের হয়রানি- হত্যার হুমকি এবং বিভিন্ন শিক্ষকদের বাসায় গিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। তাছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ৮ জন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এসবের পেছনে ইন্ধনদাতা হিসেবে সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমানকে দুষছেন তারা। তারা জানান, ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে এডহক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইনকে দিয়ে এসব করিয়ে কলেজে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি করাচ্ছেন মুজিবুর রহমান।

শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রুত বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবসান করা এবং যে ৮জন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে তাদের পুনর্বহাল করা হোক। এ সময় কলেজে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনারও দাবি জানান তারা।

এর আগে ২৪ নভেম্বর হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজের আটজন শিক্ষককে বিভিন্ন অভিযোগে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়। 

বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হলেন— পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক কাজী মঈনুল ইসলাম, উচ্চতর গণিত বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ ছাবের উদ্দীন, গণিত বিভাগের প্রভাষক মো. আবদুল্লাহ, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক এ কে এম নাজমুল হাসান, পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল হাসান, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক নুরুল আবছার ও বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. জমশেদ উদ্দিন চৌধুরী।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- শিক্ষকদের স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ, শিক্ষাঙ্গনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও রাজনীতি প্রবেশ করানোর চেষ্টা, শ্রেণি কার্যক্রম চলা অবস্থায় কলেজে উপস্থিত না থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়া, ক্লাসে উপস্থিত না থেকে কোচিং বাণিজ্য করা এবং কোচিংয়ের ছেলেদের দিয়ে শিক্ষাঙ্গনে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করা।

‘রুটিন অনুযায়ী কলেজে ক্লাস করতে না যাওয়া, কলেজের সিসি ক্যামেরা ও তার হার্ডডিক্স নিয়ে যাওয়া, কলেজের গুরুত্বপূর্ণ নথি বের করে বাইরে নিয়ে যাওয়া, নিজ নিজ কোচিংয়ে ছেলেদের অতিরিক্ত নাম্বার দেওয়া। তাদের কাছে পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র সরবরাহ করা, কোচিং না করলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়া, জোরপূর্বক অধ্যক্ষের সিল ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া’।

‘বহিরাগত কিছু লোকজন ও প্রাক্তন ছাত্রদের দিয়ে জোরপূর্বক উপাধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য করা, অডিও ক্লিপের মাধ্যমে ছাত্রদের কোচিংয়ে আসতে বলা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কলেজবিরোধী পোস্ট করা, জোরপূর্বক উপাধ্যক্ষ এস এম আইয়ুবকে অব্যাহতি দানে বাধ্য করা এবং তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া, কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব না দেওয়া এবং ছাত্রদের সংঘবদ্ধ করে উক্ত নোটিশটি ছিঁড়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়

: