চসিক মেয়র ডা. শাহাদাতকে চিঠি
প্রিমিয়ারে এক পদে তিন ‘অপশন’ চায় মন্ত্রণালয়
সিভয়েস২৪ প্রতিবেদক

দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে শূন্য চট্টগ্রামের বেসরকারি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদ। গত ১০ ডিসেম্বর গুরুত্বপূর্ণ এ তিন পদে চারজনের নাম প্রস্তাব করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। তবে সেই প্রস্তাবে সায় না দিয়ে ‘অপশন’ হিসেবে প্রতিপদে তিনজনের নাম চেয়ে পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়।
গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেয় মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোছা রোকসানা বেগম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের নিমিত্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর ৩১, ৩২ ও ৩৩ ধারা অনুযায়ী প্রতিটি পদের বিপরীতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তিনজন করে ব্যক্তির সমন্বয়ে প্যানেল প্রস্তাব পুনরায় প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন সিভয়েস২৪’কে বলেন, ‘এ সংক্রান্ত একটা চিঠি পেয়েছি। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এর আগে উপাচার্য পদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম উপাচার্য অধ্যাপক ড. বদিউল আলম, আর উপ-উপাচার্য পদে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী মোহাম্মদ মনিরুল হাসান এবং রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাঈল হোসাইনের নাম প্রস্তাব করেছিল চসিক। এছাড়া কোষাধ্যক্ষ পদে প্রস্তাব করা হয়েছিল চসিকের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলমের নাম।
যদিও এর আগে ২৪ ডিসেম্বর গুরুত্বপূর্ণ এ তিন পদে নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ইফতেখার মনিরকে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মহিবুল হাসান চৌধুরী। পরে বিশ্ববিদ্যালয়টি বেআইনি ও অবৈধভাবে দখল করার অভিযোগ তুলে ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় চসিক।
ওই চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা চসিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে গত ৬ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন, উপ–উপাচার্য কাজী শামীম সুলতানা এবং কোষাধ্যক্ষ তৌফিক সাঈদ পদত্যাগ করেন।
গুরুত্বপূর্ণ তিনজন পদত্যাগ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম নিয়ে স্থবিরতা সৃষ্টি হওয়ায় গত ১০ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
শিক্ষা সব খবর