অবশেষে মুক্তি পেল ‘পাঠান’

অনেক জল্পনা-কল্পনা, বিতর্ক ও সমালোচনার পর শেষ পর্যন্ত ভারতে মুক্তি পেয়েছে বলিউড বাদশা শাহরুখের ছবি ‘পাঠান’। যার মাধ্যমে কিং খানের ভক্তদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে। 

তবে মুক্তির আগে অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেছে বলে গুঞ্জন উঠেছে । দু’টি ওয়েবসাইটে ছবির পাইরেটেড ভার্সান পাওয়া যাচ্ছে দাবি করা হচ্ছে।

শোনা যাচ্ছে, ‘ফিল্মজিল্লা’ এবং ‘ফিল্মিব়্যাপ’ নামের দু’টি সাইটে পাওয়া যাচ্ছে ‘পাঠান’ সিনেমার পাইরেটেট ভার্সান। দু’টি সাইটেই ‘ক্যামরিপ’ ও ‘প্রি ডিভিডি রিপ’ ভার্সান পাওয়া যাচ্ছে বলেই দাবি করা হচ্ছে।

চার বছর পর শাহরুখের সিনেমা রিলিজ করছে। ফলে যে দেশে কোটি কোটি শাহরুখ ভক্ত আছেন, সেখানে তাদের ক্রেজ যে ভয়ংকর হবে, তা বলার জন্য বোদ্ধা হওয়ার দরকার পড়ে না। বুধবার রিলিজ হয়েছে পাঠান। সোমবার পর্যন্ত টিকিট বিক্রি হয়েছে চার লাখ ১৯ হাজার। বাহুবলী২ ও কেজিএফ২-এর পরেই রয়েছে পাঠান। 

শাহরুখ খান গত ১০ জানুয়ারি পাঠানের ট্রেলার দিয়ে টুইট করেছিলেন। সেই ট্রেলার এখনো পর্যন্ত ৪২ লাখ ভিউ হয়েছে। তেলুগু ও তামিল ট্রেলারও ৫০ লাখ ভিউ হয়েছে। এই ছোট তথ্যই বুঝিয়ে দিচ্ছে পাঠান ও শাহরুখকে নিয়ে মানুষের উন্মাদনার ছবিটা।

বলিউড এখন দক্ষিণের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ও হলিউডের কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছে। বেশ কিছুদিন হলো খুব বেশি বলিউডি সিনেমা বিপুল সাফল্যের মুখ দেখেনি। প্রযোজক গিরিশ জোহর মনে করছেন, পাঠান বলিউডকে সেই সাফল্য দেবে এবং আত্মবিশ্বাস যোগাবে।

বিতর্কের জের
পাঠানের গান ‘বেশরম রং’ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল। দীপিকা পাড়ুকোন এই গানের সঙ্গে গেরুয়া পোশাক পরে নেচেছেন। তারপরই বিজেপি-র নেতা-কর্মীরা আওয়াজ তোলেন, গেরুয়ার তথা হিন্দুত্বের অপমান করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী জানিয়ে দেন, তার রাজ্যে পাঠান রিলিজ করতে দেয়া হবে না। বিভিন্ন জায়গায় পাঠানের মুক্তি আটকে দেওয়ার দাবি ওঠে। এই বিতর্ক সম্ভবত পাঠান সম্পর্কে মানুষকে আরও উৎসাহী করেছে।

একদিন আগেই শাহরুখ আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। হিমন্ত আশ্বাস দিয়েছেন, আসামে কোনো গোলমাল হবে না। হিমন্ত অবশ্য বলেছেন, তিনি শাহরুখকে চিনতেন না। কারণ, ২০০১ থেকে তিনি বিশেষ সিনেমা দেখেননি। সেই কথা শুনেই শাহরুখ তার সঙ্গে কথা বলতে চান। এবং রাত দুটোয় শাহরুখকে ফোন করে কথা বলেন হিমন্ত।

তবে কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি কর্মীরা যেন সিনেমা নিয়ে কোনো কথা না বলেন। তারা দলের কাজে যেন মন দেন। প্রধানমন্ত্রীর এই কথার পর টিম পাঠান নিঃসন্দেহে বেশ কিছুটা আশ্বস্ত বোধ করছে।