Cvoice24.com

শতকোটি টাকার মামলা থেকে রেহাই পেলেন শমী কায়সার

সিভয়েস ঢাকা

প্রকাশিত: ১২:৪৪, ৭ মার্চ ২০২১
শতকোটি টাকার মামলা থেকে রেহাই পেলেন শমী কায়সার

সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে সম্বোধন করায় ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করা হয়েছিল অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার দায় থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার। আজ রোববার (৭ মার্চ) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে এ তথ্য জানা যায়।

আদালতের তথ্য মতে, ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে ৩ ফেব্রুয়ারি শমী কায়সারকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক লুৎফর রহমান। সাক্ষী খুঁজে না পাওয়ায় শমী কায়সারকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের জন্য ৪ মার্চ দিন ধার্য ছিল। বিচারক সেই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার দায় থেকে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দেন।

পিবিআইয়ের পরিদর্শক লুৎফর রহমান বলেন, ‘মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে কোনো সাক্ষী খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি।’

২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মামলা করেন স্টুডেন্টস জার্নাল বিডির সম্পাদক মিঞা মো. নুজহাতুল হাচান। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহবাগ থানার পরিদর্শককে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

এর পর ২৪ অক্টোবর মামলার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, শমী কায়সারের বক্তব্যে কোনো মানহানিকর ঘটনা ঘটেনি। মামলার বাদী এ বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করতে পারেননি।

তবে পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেন মামলার বাদী মিঞা মো. নুজহাতুল হাচান। নারাজি শুনানি শেষে আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটনবিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে শমী কায়সারের দুটি মোবাইল চুরি হয়। ওই অনুষ্ঠানে অর্ধশত ক্যামেরাম্যান ছাড়াও শতাধিক মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

শমী কায়সার সে সময় অভিযোগ করেন, সাংবাদিকরাই তার মোবাইল চুরি করেছেন। তিনি তার নিরাপত্তাকর্মীদের দিয়ে সংবাদকর্মীদের দেহ তল্লাশিও করান। কেউ ঘটনাস্থল থেকে বের হতে চাইলে তাদের ‘চোর’ বলে ওঠেন শমী কায়সারের নিরাপত্তাকর্মীরা। এতে সংবাদকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হন। অনুষ্ঠানস্থলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 

পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দুটি নিয়ে গেছেন। ভিডিও ফুটেজ দেখার পর সাংবাদিকদের কাছে ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেন শমী কায়সার।

এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে। এমন বক্তব্যের জন্য তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। ওই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতিও দেয় সাংবাদিকদের একাধিক সংগঠন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়