Cvoice24.com

সিউলে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন

দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:১২, ৭ মার্চ ২০২১
সিউলে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন

ছবি : সিভয়েস

সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। পূর্ণ মর্যাদায় দিনটি উদযাপনের জন্য দূতাবাস তিন পর্বের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে।

বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় এই দিবস উপলক্ষে রবিবার (৭ মার্চ) দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় সময় সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম।

সামাজিক দূরত্ব কার্যক্রম অব্যাহত থাকার কারণে শুধুমাত্র দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা, পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ এবং দূতাবাস কর্তৃক কোরিয়ান ভাষায় অনুদিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্যের ওপর আলোকপাত করা হয়। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্যের ওপর আলোকপাত করতে দূতাবাস দ্বিতীয় পর্বে একটি অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এটি বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায় ও দক্ষিণ কোরিয়ার সময় দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হয়। 

ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, কথাসাহিত্যিক, সাহিত্যসমালোচক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক (অব.) সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং তাঁর আলোচনার প্রেক্ষিতে সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এশিয়া সেন্টারের ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো মান্যবর ইয়ুইয়ুং লি বক্তব্য রাখেন। 

আলোচনার শুরুতে দূতাবাস কর্তৃক কোরিয়ান ভাষায় অনূদিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য বিষয়ে আলোচনা করেন। ইউনেস্কো কর্তৃক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এই স্বীকৃতি স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গকারী ২ লাখ বীরাঙ্গনা এবং শহীদদের ত্যাগের প্রতি এক গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।’ 

এছাড়া তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে দূতাবাস কর্তৃক কোরিয়ান ভাষায় অনূদিত বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পুস্তিকা ও ভিডিও নির্মাণের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।

মুখ্য আলোচক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের পটভূমি, তৎকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাবের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আলোচনায় তিনি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বিষয়ে তার ব্যক্তিগত সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, ৭ মার্চ ভাষণের সময় তিনি (সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম) রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্যে সেই সময়ের স্মৃতি চারণ করেন।

ইয়ুইয়ুং লি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণকে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটির বিশ্বজনীনতা এবং মানবিক গুণের কারণেই দেশ-কালের গণ্ডি ছাড়িয়ে সার্বজনীন হয়েছে এবং বাঙালি ও বিশ্বের মানুষের জীবনে অভূতপূর্ব নতুন মাত্রার সঞ্চার করেছে।’

অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্বে দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের অংশগ্রহণে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য বিষয়ক অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা পর্বের শুরুতে দূতাবাস কর্তৃক কোরিয়ান ভাষায় অনূদিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্যের ওপর স্বতঃস্ফূর্ত আলোচনা করেন। 

বঙ্গবন্ধুর ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তাঁর অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানান।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়