Cvoice24.com

সৌদি প্রবাসীদের জন্য কঠোর নিয়মে বিপাকে বাংলাদেশিরা

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২৩, ২০ মে ২০২১
সৌদি প্রবাসীদের জন্য কঠোর নিয়মে বিপাকে বাংলাদেশিরা

ফাইল ছবি

আগে থেকেই হোটেল বুকিং আর ইনস্যুরেন্স না থাকলে সৌদিগামী ফ্লাইটের বোর্ডিং পাস পাওয়া যাবে না। গত ১০ মে সৌদি সরকারের এ বিধিনিষেধের বিষয়টি দেশটির জেনারেল অথরিটি অব সিভিল অ্যাভিয়েশন বিভিন্ন এয়ারলাইন্সকে জানিয়েছে। 

বলা হয়েছে, যারা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেননি, তারা সৌদি আরবে প্রবেশ করলে হোটেলে বাধ্যতামূলক সাত দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। সেই সঙ্গে হোটেলের ব্যয়ও বহন করতে হবে সেই যাত্রীকেই।

শুধু তাই নয়, সৌদি আরবের পাবলিক প্রসিকিউশন নতুন করে নিয়ম করেছে— কেউ যদি করোনা ভাইরাস ছড়ায় তাকে পাঁচ বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ ৫ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হবে। যদি সেই ব্যক্তি প্রবাসী হয় তবে তাকে শাস্তি দেওয়ার পর দেশটি থেকে বিতাড়িত করা হবে। ওই ব্যক্তি আর কোনো দিন সৌদি আরবে আসতে পারবেন না।

এমন ঘোষণার পর আজ বৃহস্পতিবার থেকে ২৪ মে পর্যন্ত দেশটির সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। 

সব মিলিয়েই বিপাকে পড়েছেন সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এতে একদিকে যেমন বিপাকে পড়েছেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সৌদিতে ফিরতে চাওয়া প্রবাসীরা, অন্যদিকে সেখানে অবস্থান করা বাংলাদেশিরাও ফিরতে পারছেন না দেশে। এ অবস্থায় কোয়ারেন্টাইনের বিধিনিষেধ শিথিল করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম শিথিল করে ঘরে কোয়ারেন্টাইনের সুযোগ করে দেওয়ার দাবি তাদের।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সৌদি আরবে যাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এলে ঢাকা থেকে ফ্লাইটে যাত্রীকে বোর্ডিং ইস্যু করা যাবে। সৌদিতে পৌঁছানোর পর যাত্রীকে আরও দুবার করোনা টেস্ট করতে হবে। প্রথমবার করতে হবে সৌদি আরবে পৌঁছানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। ষষ্ঠ দিনে আবারও টেস্ট করতে হবে। আর টেস্ট করার খরচ যাত্রীকেই বহন করতে হবে। দুবার টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট এলে হোটেল কোয়ারেন্টিন থেকে সপ্তম দিনে বাসায় যাওয়ার অনুমতি মিলবে।  

যাত্রীদের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য হোটেল বুকিং এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে করার নির্দেশনাও দিয়েছে জেনারেল অথরিটি অব সিভিল অ্যাভিয়েশন।

এছাড়া যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। তবে ফাইজার-বায়োএনটেকের ২ ডোজ, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২ ডোজ, মডার্না ২ ডোজ এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার ১ ডোজ যারা নিয়েছেন তারা হোটেলে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার বদলে বাসায় কোয়ারেন্টিনে থাকার সুবিধা পাবেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়