শবে কদর—হাজার মাসের চেয়েও বেশি নেকী লাভের রাত

আজ রোববার দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। মুসলমানদের কাছে শবে কদর অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত। সওয়াব হাসিল ও গুনাহ মাফের রাত হিসেবে শবে কদরের ফজিলত অতুলনীয়। এ রাত হাজার রাতের চেয়েও পুণ্যময়। ফলে হাজার মাসের চেয়েও বেশি ইবাদতের নেকী লাভের সুযোগ এনে দেয় এ রাত ।

হাদিসে এসেছে, শবে কদরের রাতে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয় এবং এই রাতকে কেন্দ্র করে কোরআন শরিফে ‘আল-কদর’ নামে একটি সূরাও নাজিল করা হয়। ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাত কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজানের দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে অনেক আলেমদের অভিমত। 

শবে কদর উপলক্ষে নগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ, নবাব ওয়ালি বেগ খাঁ জামে মসজিদ, শেখ বাহার উল্লাহ শাহী জামে মসজিদ, চন্দনপুরা জামে মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে হবে ধর্মীয় আলোচনা, মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাত। করোনা মহামারি থেকে মুক্তির জন্য এবং দেশ জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি সমৃদ্ধি কামনা করে মসজিদে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত করা হবে।

ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে, অন্যান্য সময় এক হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব পাওয়া যায়, কদরের এই রাতে ইবাদত করলে তার চেয়ে বেশি মিলে। তাই এ রাতে ইবাদত-বন্দেগি করে আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফের জন্য প্রার্থনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। 

নিজেদের গুনাহ মাফ এবং অধিক সওয়াবের আশায় নফল ইবাদত, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকারের মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করবেন মুসলিমানরা। পবিত্র এই রাতে অনেকে কবরস্থানে গিয়েও স্বজনদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। 

এদিকে শবে কদর উপলক্ষে আগামীকাল সোমবার সরকারি ছুটি থাকবে। মহিমান্বিত এ রাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান।