Cvoice24.com

ঈদের দিন সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ১৪ মে ২০২১
ঈদের দিন সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা

ফাইল ছবি

ঈদ আল্লাহতায়ালার নেয়ামত বিশেষ। নেয়ামতের চাহিদা হলো এর শোকরিয়া (কৃতজ্ঞতা) আদায় করা। ঈদুল ফিতরের ধর্মীয় করণীয়গুলো পালনের মাধ্যমে নিজেকে ধর্মীয় অনুভূতিসম্পন্ন একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে গড়ে তোলা এবং সামাজিক করণীয়গুলো পালনের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি, শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব, সাম্য, সম্প্রীতি, সংহতি ও সহমর্মিতার নজির স্থাপন করা একান্ত কর্তব্য। 

ঈদের এই দিনে সহমর্মিতার অন্যতম দিক হলো— আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবর নেওয়া। কারণ সদাচরণ পাওয়ার দিক দিয়ে আত্মীয়স্বজনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হকদার হলেন, মা-বাবা। তারপর পর্যায়ক্রমে অন্য আত্মীয়স্বজন। 

আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ ও তাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সব ধরনের মনোমালিন্য দূর করার জন্য ঈদ বিশাল এক সুযোগ সৃষ্টি করে। এদিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া আবশ্যক।

মনে রাখতে হবে, রমজানের রোজার মাধ্যমে নিজেদের অতীত জীবনের সব পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত হওয়ার অনুভূতি ধারণ করে পরিপূর্ণতা লাভ করে ঈদের খুশি। ঈদ শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়। ধর্মের মূল কাজ হচ্ছে— মানুষের মধ্যে জবাবদিহি সৃষ্টি করা। 

জীবনযাপনে স্বচ্ছতা আনা, ত্যাগী মানসিকতা সৃষ্টি করা, প্রকৃত মানবতার পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করা এবং আল্লাহতায়ালার প্রতিটি সৃষ্টির প্রতি তার নির্দেশিত পন্থায় আচরণ করা। 

পবিত্র রমজানে যেভাবে পাপমুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তার ফলে প্রত্যেক রোজাদার যে পরিশুদ্ধতা অর্জন করেন সে কারণে ঈদ তাদের জন্য বিশেষ আনন্দের সংবাদ দেয়। এটাই ঈদের মূল কথা।

আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের জন্য ঈদের দিন সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন— ‘ঈদের দিন মহান আল্লাহ ফেরেশতাদের মধ্যে রোজাদারদের নিয়ে গর্ব করে বলেন— হে ফেরেশতারা! আমার কর্তব্যপরায়ণ প্রেমিক বান্দার বিনিময় কী হবে? ফেরেশতারা তখন বলেন— হে প্রভু, পুণ্যরূপে পুরস্কার দান করাই তো তার প্রতিদান। আল্লাহপাক বলেন— আমার বান্দারা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছে। দোয়া করতে করতে ঈদগাহে গমন করেছে। আমার মর্যাদা, আমার সম্মান, দয়া ও বড়ত্বের কসম আমি তাদের দোয়া কবুল করব এবং তাদের মাফ করে দেব।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়