বৌদ্ধদের ঘরে ঘরে বুদ্ধপূর্ণিমার উৎসব

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা আজ বুধবার (২৬ মে)। গৌতম বুদ্ধের শুভজন্ম, বোধিজ্ঞান ও মহাপরিনির্বাণ লাভ— এই তিন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে বুদ্ধপূর্ণিমা নামে পরিচিত। 

জাতিসংঘ এ দিবসটিকে ‘বেশাখ ডে’ হিসেবে পালন করে। দিবসটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে একইসঙ্গে শোক ও গৌরবের। দিনভর বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা দিনটি পালন করবে। করোনার কারণে এবার এ উৎসবটি অনাড়ম্বরভাবে উদযাপিত হবে।

পঞ্জিকা অনুসারে বুদ্ধপূর্ণিমার তিথি ২৫ মে রাত ৮টা ২৯ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে। এই তিথি শেষ হবে ২৬ মে বুধবার বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটে। বুদ্ধপূর্ণিমার দিনে বৌদ্ধরা বুদ্ধপূজাসহ পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেত প্রার্থনা এবং নানাবিধ মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

করোনার কারণে এবার সব বিহার ও প্যাগোডায় বুদ্ধপূর্ণিমার কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি থাকছে না। কেবল বৌদ্ধ বিহারে অবস্থানরত ভিক্ষুরাই ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পূজা, বন্দনাসহ ধর্মীয় কার্য সমাধা করছেন। তবে বৌদ্ধ সম্প্রদায় নিজ নিজ বাড়িতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করছে। 

বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। সেই সঙ্গে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীসহ দেশবাসীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান তারা।

উৎসবটি উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। সংবাদপত্রগুলোও প্রকাশ করেছে বিশেষ নিবন্ধ।

খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দে আজকের নেপালের কপিলাবস্তু নগরের কাছের লুম্বিনি উদ্যানে জন্ম নেন গৌতম বুদ্ধ। সে হিসেবে বুধবার (২৬ মে) ২৫৬৫ বুদ্ধবর্ষ শুরু হলো। ৫৪৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে কুশিনগরের মল্ল রাজাদের শালবনে ৮০ বছর বয়সে তিনি মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন।