পাকিস্তানে বেড়েই চলেছে গাধার সংখ্যা!
ফিচার ডেস্ক
গাধা পালনে পাকিস্তানের স্থান তৃতীয়।
‘গাধা’ শব্দটি আমরা অপমান বা ভদ্র ভাষার গালি হিসেবেই বেশি ব্যবহার করি। নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করলেও গাধা কিন্তু একটি নিরীহ, কর্মঠ, বুদ্ধিমান এবং উপকারী প্রাণীও বটে।
পাকিস্তানে দিনদিন বেড়েই চলেছে এই উপকারী প্রাণী গাধার সংখ্যা। সম্প্রতি দেশটিতে এক অর্থনৈতিক সমীক্ষা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, পাকিস্তানে গাধার সংখ্যা বেড়েই চলেছে এমনকি দেশটির জিডিপিতে বড় অবদান রাখছে প্রাণীটি। সংখ্যার নিরিখে সারা বিশ্বে গাধা পালনে পাকিস্তানের স্থান তৃতীয়।
পাকিস্তান অর্থনৈতিক সমীক্ষা (পিইএস) অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশটিতে গাধার সংখ্যা ৫৭ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১ লাখ বেশি। খবর ডেইলি টাইমস।
সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, কয়েক বছর ধরে গাধার সংখ্যা অব্যাহতভাবে বাড়ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে গাধার সংখ্যা ছিল ৫৫ লাখ। পরে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ লাখ বেড়ে গাধার সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৬ লাখে।
ভেড়া, মহিষ, ছাগল পালনেও অন্যান্য দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে পাকিস্তান। কিন্তু গাধা পালন সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে।
গাধা পালনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে পাকিস্তান। তারা নিজেদের উৎপাদিত গাধা চীনে রপ্তানি করে। যার মাধ্যমে আয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। চীনে পাকিস্তানি গাধার এতই প্রভাব যে, পাকিস্তানে তৈরি দ্য ডঙ্কি কিং নামের অ্যানিমেটেড ছবিটি চীনেও রিলিজ হয়েছিল!
সব মিলিয়ে লাইভস্টক খাতে অনেক বেশি মনোযোগ দিতে শুরু করেছে পাকিস্তান। দারিদ্র্য দূরীকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ইত্যাদি ক্ষেত্রেই গাধা পালন ও রপ্তানির প্রত্যক্ষ সুফল পেতে শুরু করেছে দেশটি।