Cvoice24.com

চট্টগ্রামেও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত, কমিউনিটি সংক্রমণ শুরু 

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:৪৪, ১৪ জুন ২০২১
চট্টগ্রামেও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত, কমিউনিটি সংক্রমণ শুরু 

চট্টগ্রামেও করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে এক গবেষণায়। ৪২ জন করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষার পর সেখান থেকে ২ জনের মধ্যে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। আক্রান্ত রোগীরা ভারত ভ্রমণে না গিয়ে কিংবা ভারত ফেরত কারো সংস্পর্শে না গিয়েও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কমিউনিটি সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে মনে করে গবেষক দল। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনলজি বিভাগ এবং ঢাকা আইসিডিডিআরবি'র একটি যৌথ গবেষনায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। এতে অর্থায়ন করে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)।

গবেষণায় দেখা যায়, চট্টগ্রামে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্টের আধিক্য পাওয়া গেছে এবং একইসাথে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতিও পাওয়া গেছে। েযদিও এরআগে দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্যসহ কয়েক দেশের ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছিল চট্টগ্রামে। 

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল-ফোরকান। তিনি এ গবেষণা দলের নেতৃত্বে ছিলেন। 

গবেষণায় এই পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের সাতটি কোভিড-১৯ সনাক্তকরণ ল্যাব এবং হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করা ৪২টি নমুনা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২টি (৪.৮%) ভারতীয় (ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট) ৩টি (৭.২%) নাইজেরিয়ায় (ইটা ভ্যারিয়েন্ট), ৪টি (৯৫%) যুক্তরাজ্যের (আলফা ভ্যারিয়েন্ট) এবং বাকি ৩৩টি (৭৮.৫%) দক্ষিণ আফ্রিকার (বিটা ভ্যারিয়েট) ধরণ সনাক্ত হয়। 

গবেষণায় আরও জানা যায়, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত দুই জন রোগীর কেউই সম্প্রতি ভারতে যাননি এবং তাদের জানামতে ভারত ফেরত কারও সংস্পর্শেও আসেননি। এখানে উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে এর আগে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সনাক্ত হয়নি। এ তথ্য থেকে গবেষক দলটি ধারণা করছেন, চট্টগ্রামে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কমিউনিটি সংক্রমণ প্রাথমিকভাবে শুরু হয়েছে। ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়া দুইজনের মধ্যে একজন ফটিকছড়ি উপজেলার এবং অন্যজন চট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দা। ফটিকছড়ি এলাকার রোগীকে খুঁজে পাওয়া গেলেও অন্যজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

গবেষণার ফলাফল সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল-ফোরকান বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী চীনের উহান থেকে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ সংক্রমণের শুরু থেকে এই পর্যন্ত সার্স-কভ-২ মোট ১০ বার রূপ পরির্তন করার মাধ্যমে মূলত ৬টি দেশে (যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া, ব্রাজিল এবং ভারত) মহামারী আকার ধারণ করেছে।

গবেষণা কার্যক্রমের সঙ্গে আরও যুক্ত ছিলেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রভাষক মো. জিবরান আলম, রাহী হাসান চৌধুরী, এমফিল গবেষক অমিত দত্ত ও ডা. শুভ দাশ, গবেষণা সহকারী ইনজামামুল ইসমাইল শাওন, বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আবদুর রহমান অপু, মো. মিফতাহ মুশফিক ও অম্লান ভট্টাচার্য্য।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়