Cvoice24.com

অবশেষে মিলেছে ইনজেকশন, চিকিৎসা শুরু ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত নারীর

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:০১, ৩১ জুলাই ২০২১
অবশেষে মিলেছে ইনজেকশন, চিকিৎসা শুরু ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত নারীর

চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ওই রোগী।

বহু চেষ্টার পর অবশেষে মিলেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত নারীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যামফোটেরিসিন-বি’ ইনজেকশন। শনিবার দুপুর থেকে রোগীর শরীরে ইনজেকশনের প্রথম ডোজ দেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। 

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন ৫ ভায়াল করে ১৫ দিন এই ইনজেকশনটি তার শরীরে প্রয়োগ করতে হবে। তবে রোগীর স্বজনেরা শনিবার পর্যন্ত মাত্র ২২ ভায়াল ইনজেকশন জোগাড় করতে পেরেছেন। ফলে এই ইনজেকশনের আরও ৫৩ ভায়াল জোগাড় করতে হবে ওই রোগীর পরিবারকে। দুষ্প্রাপ্য হওয়ায় এর আগে টানা ছয়দিন ধরে তারা চট্টগ্রাম, ঢাকা এমনকি দেশের বাইরেও ওষুধটি হন্য হয়ে খোঁজেছেন স্বজনরা। 

রোগীর মেজো ছেলে মো. বেলাল হোসাইন বলেন, আমরা অনেক কষ্টে ২২ টি ভায়াল ব্যবস্থা করতে পেরেছি। এগুলো দিয়ে হয়তো তিন থেকে চারদিন চলবে। জানি না কীভাবে বাকী ওষুধগুলো জোগাড় করবো।

এ প্রসঙ্গে রোগীর তত্ত্বাবধানে থাকা চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ জয় বলেন, এ নারী রোগীর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে এখন পর্যন্ত তার চোখে রয়েছে। এটি যাতে তার নাক ও মুখ সহ আরো অন্যান্য স্থানে নতুন করে না ছড়ায় তাই আমরা একটি অপারেশন করার চিন্তা ভাবনা করছি। এতোদিন ইনজেকশন গুলো কোথাও না পাওয়ার করনে আমরা তার শরীরে প্রয়োগ করতে পারিনি। এখন কিছু ইনজেকশন রোগীর স্বজনরা এনেছেন তাই আজ হতে তার চিকিৎসার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। 

জানা যায়, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিসজনিত রোগের চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল। এর মূল কারণ ওষুধের দাম এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের সেবা। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধও তৈরি করে দেশের একটিমাত্র কোম্পানি। সেই ওষুধের কাঁচামাল আসে ভারত থেকে। তবে সেখানেও এখন কাঁচামাল সহজলভ্য নয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকা রোগীর স্বজনেরা দুষ্প্রাপ্য এই ওষুধের প্রতি ভায়াল ১৫ হাজার টাকা করে কিনেছেন বলে জানিয়েছেন।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়