Cvoice24.com

চমেক হাসপাতালে বন্ধ হল কিডনি ডায়ালাইসিস, অনিশ্চয়তায় হাজারো রোগী

সিভয়েস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:০১, ৪ জানুয়ারি ২০২২
চমেক হাসপাতালে বন্ধ হল কিডনি ডায়ালাইসিস, অনিশ্চয়তায় হাজারো রোগী

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস বন্ধের ঘোষণা। ছবি প্রতীকি

বৃহত্তর চট্টগ্রামের কিডনি রোগীদের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)-এর আওতায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরকারের চালু করা কিডনি ডায়ালাইসিস কার্যক্রম হঠাৎ করে বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর মেডিকেইডস (প্রা.) লিমিটেড। সরকারের কাছে গত দুই বছরের প্রায় ২৩ কোটি টাকা পায় সংস্থাটি।

কাঁচামাল ও সরঞ্জাম না থাকায় ২ জানুয়ারি এ ঘোষণা দিয়ে সেবা বন্ধের ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। সেবা বন্ধের ওই নোটিশে বলা হয়, ৫ জানুয়ারি থেকে বন্ধ থাকবে ডায়ালাইসিস। সে অনুযায়ী রোগীদের বিকল্প ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধও জানানো হয় ওই নোটিশে।

হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে দিশাহারা হয়ে পড়েছে রোগীর স্বজনেরা। যেখানে চমেক হাসপাতালে  সপ্তাহে তিনবার এক হাজার ৫৩০ টাকায় একজন রোগীকে ডায়ালাইসিস করা যায় সেখানে বাইরে লাগে ১০ হাজারেরও বেশি। 

ভুক্তভোগীরা বলছেন, সময়মতো চিকিৎসা না পেলে রক্তস্বল্পতা, শ্বাসকষ্ট ও শরীর ফুলে গিয়ে মৃত্যুও ঘটতে পারে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের। তবে বিষয়টি নিয়ে স্যান্ডের মেডিকেইডস ও চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মন্ত্রণালয়ে এখন বসেছে। সেখান থেকেই এর সুরাহা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে রোগীদের। 

ডায়ালাইসিস করতে আসা এক রোগীর ছেলে বলেন, 'বাবার ডায়ালাইসিস করতে আসলাম, সিরিয়ালও নিয়েছি। এখন শুনতেছি কালকে থেকে ডায়ালাইসিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাবার শরীরের অবস্থা ভালো না। যেভাবেই হোক ডায়ালাইসিস করাতে হবে। এখন কি করব মাথায় ধরছে না।'

এ বিষয়ে চমেকের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আফতাবুল ইসলাম সিভয়েসকে বলেন, ‘এখানে আসলে আমাদের কোনো হাত নেই। আমরা গরীব অসহায় রোগীদেরকে তাদের কাছে রেফার করি। এখন গত দুই বছরে অমার জানামতে প্রায় চার কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। আবার তহবিল সংকট ও কাঁচামালের অভাবে এ জরুরি সেবা কোনভাবেই চলমান রাখা সম্ভব হচ্ছে না। যার কারণে নোটিশ দিয়ে রোগীদের জানিয়ে দিয়েছি। তারপরও আমরা বিষয়টি নিয়ে সমাধান করার চেষ্টায় আছি। এখন আপাতত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নাই। তারাও অনেকটা নিরুপায়।’

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়