Cvoice24.com

মাস্কহীন চলাফেরা সংক্রমণ বাড়ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সিভয়েস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:০০, ২৫ জানুয়ারি ২০২২
মাস্কহীন চলাফেরা সংক্রমণ বাড়ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মাস্কহীন চলাফেরা আর অতি আত্মবিশ্বাসে সংক্রমণ বাড়ছে।-স্বাস্থ্যমন্ত্রী

অতি আত্মবিশ্বাস এবং মাস্ক ছাড়া বেপরোয়া চলাফেরা করার কারণে করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেছে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশন কর্তৃক ওমিক্রনের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেসরকারি হাসপাতালের প্রস্তুতি বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম, দেশের বিভিন্ন মেডিকেলের প্রতিনিধিবৃন্দ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশে সংক্রমণের হার ১ শতাংশের নিচে নেমেছিল। আমরা আশা করেছিলাম, করোনা বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেবে। এতে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে অতিমাত্রায় কনফিডেন্স চলে আসছিল, তারা মনে করেছিল দেশ থেকে করোনা চলে গেছে। যার ফলে আমরা ব্যাপকহারে চলাফেরা শুরু করে দেই। মাস্ক পরিনি, মাস্ক না পরেই বিভিন্ন স্থানে, বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গিয়েছি।  

তিনি বলেন, সারা বিশ্বে সংক্রমণ বাড়ছে, বাড়ছে বাংলাদেশেও। তবে আশার খবর হলো, ইউরোপে কমছে, ভারতে কমছে। তাদের আক্রান্তের সংখ্যা লাখ লাখ ছিল, এখন কমে আসছে। ওমিক্রন মাইল্ড হতে পারে কিন্তু তার সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ যখন বেশি হবে তখন মৃত্যু বেশি হবে।

সংক্রমণ বাড়লেও সেই হারে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে না উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, এটার কারণ হচ্ছে টিকা। অনেক মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। ফলে হসপিটালাইজেশন কম হবে। আমাদের টার্গেট আরও তিন কোটি লোক টিকা নেওয়ার বাকি আছে। ট্রান্সপোর্ট, ইন্ডাস্ট্রি, কনস্ট্রাকশন সেক্টরে বাকি আছে। তারা এগিয়ে আসেনি নেওয়ার জন্য। তাদের কীভাবে টিকা দেওয়া যায় সে বিষয়ে আমরা বৈঠক করেছি।

হাসপাতালে রোগী যারা আসছেন তাদের ৮৫ শতাংশই টিকা নেননি এবং যারা মারা যাচ্ছেন তাদেরও ৮৫ শতাংশই টিকা নেননি বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওমিক্রনে গুরুত্বর অসুস্থ না হলেও দ্রুত ছড়াতে পারে। রোগী যখন বাড়ে তখন মৃত্যুর হারও বেড়ে যায়। আমাদের দেশে এখন ১৬, ১৭ জনের মৃত্যু হচ্ছে, আক্রান্ত হচ্ছে প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার। এর এক শতাংশও যদি হাসপাতালে আসে, এক শতাংশও যদি মৃত্যুবরণ করে তার সংখ্যা অনেক।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়