চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও এক নারীর মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ১৫৯
সিভয়েস প্রতিবেদক
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সকিনা বেগম (৫৩) নামে এক নারীর মৃত্যু। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬১ জনে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়েছে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ১১ জন বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ৪৫ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগীয় হাসপাতালে, ২৭ জন চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এবং ১১জন চট্টগ্রাম সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া আক্রান্ত আরও ৬২ জন চট্টগ্রামের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকিনা বেগম (৫৩) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি নোয়াখালীর বাসিন্দা। ওই নারী গতকাল রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মারা যান।
সকিনা বেগমের স্বামী নুরুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘চারদিন আগে আমার স্ত্রীর জ্বর আসে। গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর হাসপাতালে ভর্তি করায় গতকাল রোববার। রাতেই সে মারা যায়। তার লাশ দাফন করতে নোয়াখালী নিয়ে এসেছি।'
চলতি বছর চট্টগ্রামে মোট সাত হাজার ৮৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩২৪ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সাত হাজার ৭৬১ জন সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন।
চলতি সেপ্টেম্বরে এই পর্যন্ত এক হাজার ২৯৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে, আগস্টে সর্বোচ্চ সংখ্যক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিন হাজার ১১ জন। এছাড়া জানুয়ারিতে ৭৭ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২২ জন, মার্চে ১২ জন, এপ্রিলে ১৮ জন, মে’তে ৫৩ জন, জুনে ২৮৩ জন এবং জুলাইয়ে দুই হাজার ৩১১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে চট্টগ্রামে ১৭ জন, ২০২১ সালে ২৭১ জন এবং ২০২২ সালে পাঁচ হাজার ৪৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল। ২০২২ সালে ৪১ জন এবং ২০২১ সালে পাঁচজন মারা গিয়েছিলেন।